Wednesday 15 May, 2024

For Advertisement

আসছে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় মোখা, কেন এমন নাম

9 May, 2023 11:46:51

মোখা নিয়ে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। খুবই শক্তিশালী হবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’, লক্ষ্য বাংলাদেশ। কয়েক দিনের মধ্যে প্রলয়ংকরী শক্তিতে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে মোখা। সম্প্রতি দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণিচক্রের (সাইক্লোনিক সার্কুলেশন) সৃষ্টি হয় যা গভীর নিম্নচাপ ধাপ পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড় হবে।

একদিকে যেমন এই ঝড় নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে, তেমনই সোশ্যাল মিডিয়ায় এর নাম নিয়ে চলছে নানা ধরনের রঙ্গরসিকতা। কেউ বলছেন, এর নাম মোকা, কেউ বলছেন মোচা। কিন্তু এই নামের উৎস আসলে কী? সে সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না। কীভাবে ঘূর্ণিঝড়টি মোখা নাম পেল? জেনে নিন।

বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে বিশ্বের ১৩টি দেশ। ২০০০ সাল থেকে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অন্তর্গত ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং ওমান ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে। ২০১৮ সালে ইরান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এই প্যানেলে সামিল হয়। ঝড়ের নাম ঠিক করার জন্যে প্রত্যেক দেশ কিছু নাম প্রস্তাব করে। ‘প্যানেল অন ট্রপিকল সাইক্লোন’-এর কাছে সেই নামগুলো পেশ করা হয় ও একটি তালিকা তৈরি হয়। জানা গেছে, এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে ইয়েমেন।

নাম ঠিক করার সময় যদিও বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হয় যেমন কোনো গোষ্ঠী বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে আঘাত করে এমন কোনো নাম গৃহীত হবে না। একবার ব্যবহার করা নাম আর ব্যবহার করা যাবে না।

ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের তথ্য অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে ইয়েমেন। সেই দেশের বিখ্যাত শহর মোখার নাম থেকেই রাখা হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম।

মোখা এমনিতেই বেশ পরিচিত একটি শহর। সারা বিশ্বের কাছে এই শহরের পরিচিতি তার কফির জন্য। কফির উৎপাদন এবং সারা বিশ্বে সরবরাহের কাজ করা হয় এই শহর থেকে। এটির নামেই নামকরণ হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত শুরু করার সম্ভাব্য সময় ১৪ মে দুপুরের পর থেকে মধ্যরাত্রির মধ্যে। মোখার মূলকেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাব্য সময় ১৪ মে দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা। ঘূর্ণিঝড়ের পিছনের অর্ধেক অংশ উপকূলে অতিক্রম করার সম্ভাব্য সময় ১৫ মে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত। উপকূলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর সম্ভাব্য বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পরে ১৬০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলো ৭ থেকে ১০ ফটু উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

For Advertisement

সম্পাদক ও প্রকাশক:- এ এফ এম রিজাউর রহমান (রুমেল), এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  
  • প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সহযোগী-সম্পাদক:
    • গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
সহ -সম্পাদক:
    • হাসিনা রহমান শিপন,
নিউজ রুম ইনচার্জ :
    রাশিকুর রহমান রিফাত
© সকল স্বত্ব প্রতিচ্ছবি ডটকম ২০১৫ - ২০২২ অফিস: ৭২/২ উত্তর মুগদাপাড়া, ঢাকা ই-মেইল: dailyprotichhobi@gmail.com | মোবাইল: ০১৮১৮০৯৩১৩৭ ফোন:+৮৮০২৭২৭৭১৪৭

Developed by WebsXplore