- ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের
- অসহ্য এই গরমে শরীরকে আরাম দেয় যেসব খাবার
- চুলের যত্নে ডিম, জেনে নিন ঘরোয়া ৩ পদ্ধতি
- সড়ক দুর্ঘটনায় কণ্ঠশিল্পী পাগল হাসান নিহত
- নিজেদের গোপন সম্পর্কের কথা ফাঁস করলেন মাহি-জয়!
- মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যে ২৩ বাংলাদেশি গ্রেফতার
- খন্দকার মোশাররফকে দেখতে গেলেন মির্জা ফখরুল
- তামিমের ফেরা নিয়ে যা বললেন বিসিবি পরিচালক
- মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- দেশে ১ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট
সোশ্যাল মিডিয়ায় অবাধ বিচরণ নতুন প্রজন্মের
সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনার সময়ে ভিডিও কল থেকে ভয়েস কলের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। আপনাকে মেলে ধরার প্রায় সব ক্ষমতাই রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার। তার ক্ষমতা শুধু মাত্র আপনাকে নতুন ভাবে তুলে ধরা বা আপনাকে বিখ্যাত করে দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সেই সঙ্গেই আবার জ্ঞান বৃদ্ধি এবং কমিউনিকেশনের অন্যতম বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াই। ২০১০ সালের ৩০ জুন সর্বপ্রথম বিশ্ব সোশ্যাল মিডিয়া দিবসের যাত্রা শুরু হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া এই মুহূর্তে এক মিনিটও ভাবা যায় না। কারও রোজগারের মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া, কারও বা যোগাযোগের মাধ্যম, কখনও বা প্রভাবশালীদের আরও একটু বেড়ে ওঠার মাধ্যম হিসেবে তো কখনও জ্ঞান অর্জন ও বিতরণের অন্যতম কেন্দ্র।
এহেন সোশ্যাল মিডিয়াই আবার কোভিডকালেও ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে মানুষের। অক্সিজেন সিলিন্ডারের খোঁজ থেকে শুরু করে করোনা হাসপাতালে খালি বেড়ের সন্ধান দিয়ে, টিকাকরণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে অন্যতম করোনাযোদ্ধা হয়ে উঠেছে সমাজ মাধ্যম।
২০১০ সালের ৩০ জুন সর্বপ্রথম বিশ্ব সোশ্যাল মিডিয়া দিবস উদযাপন করে ম্যাশেবল। আর সেই উদযাপনের পিছনে প্রধান কারণ ছিল, অনলাইন মিডিয়া এবং বিশ্বব্যাপী কমিউনিকেশনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্বের বিষয়টাই একটা বিশেষ দিন হিসেবে সেলিব্রেট করা।
১৯৯৭ সালে প্রথম অনলাইন মিডিয়া সিক্সডিগ্রিস চালু হয়, যার প্রতিষ্ঠাতার নাম অ্যান্ড্রিউ ওয়েইনরেইচ। এই সাইট আদতে ইউজারদের, প্রিয়জনের নাম তালিকভুক্ত করতে দিত। কিন্তু কানেক্ট করার কোনও অপশন ছিল না এতে। যদিও, অনবদ্য কিছু হাইলাইটস ছিল এই প্ল্যাটফর্মের। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, রিলিজ শিটস, স্কুল অ্যাফিলিয়েটস এবং প্রোফাইল ইত্যাদি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ২০০১ সালে এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হয়ে যায় এবং দশ লাখেরও বেশি ব্যবহারকারি নিজেদের ঝুলিতে ভরেছিল সিক্সডিগ্রিস।
বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয়জনের সঙ্গে সর্বপ্রথম কানেক্ট করার অপশন নিয়ে হাজির হয় ফ্রেন্ডসটার, মাইস্পেস এবং ফেসবুক। আর আসার কয়েক দিনের মধ্যেই মার্কেটে ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয় হতে থাকে এই তিন প্ল্যাটফর্ম। এই মুহূর্তে টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিনকেদিন, স্ন্যাপচ্যাটসহ আরও গুচ্ছের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম জনপ্রিয় হয়েছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ার এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাসে বরাবরই একটা বিষয় কমন রয়ে গিয়েছে, তা হল ভুয়ো খবর। এক্কেবারে শুরু দিকেও যেমন ভুয়ো খবরের রমরমা ছিল, এখনও ছবিটা প্রায় একই। তবে, এই ফেক নিউজ রুখতে হালফিলে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মধ্যে মরিয়া চেষ্টা লক্ষ্য করা গিয়েছে।
পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে বসে, পৃথিবীর আর এক কোণের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আপনি জাস্ট একটা বাটন প্রেসের মধ্যে দিয়েই করতে পারবেন। নিজেদের ইমেজ প্রতিষ্ঠার জন্য যে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কানেকশন তৈরি এবং ক্লায়েন্টদের সঙ্গে ইন্টারফেসিংয়ের মাধ্যমে পাব্লিসাইজের ব্যবস্থাও করে দেয় সোশ্যাল মিডিয়া। ব্যবহাকারিদের আরও নানান ভাবে জ্ঞানার্জনের সুযোগ দিয়ে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত প্রয়োজনীয় শিক্ষা একটাই টেবিলে নিয়ে আসতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: