For Advertisement
শ্রীলংকার বিপক্ষে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ডিএল ম্যাথডে ১০৩ রানের জয় নিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা। এটিই লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়। আর এই জয়ের মাধ্যমে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে তামিম ইকবালরা।
এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে জিতলেও সিরিজ জয়ের রেকর্ড ছিল না বাংলাদেশের। এবার সেই রেকর্ড গড়ল টাইগাররা। আর সেটা সম্ভব হয়েছে দলীয় উইকেটকিপার ব্যাটসমান মুশফিকুর রহমানের কৃতিত্বে।
মিরপুরে সিরিজে প্রথম ম্যাচে মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ৮৪ রানের ওপর ভর করেই ৩৩ রানের জয় পেয়েছিল রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের নায়ক তিনিই। মাত্র ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর দলকে মূল্যবান সেঞ্চুরি হাকানোর মাধ্যমে এনে দেন লড়াকু স্কোর। আর তাতেই সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এদিন বাংলাদেশের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয় সফররত শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ধারাবাহিকতা ছিল না তাদের ব্যাটে। ফলে দলীয় ২৪ রানে এবং ব্যক্তিগত ১৪ রানে ফেরেন ওপেনার এবং অধিনায়ক কুশল পেরেরা। আরেক ওপেনার গুনালিথাকা আউট হন ২৪ রানে।
এরপরের তিন উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। পাথুম নিশানকাকে ২০, কুশল মেন্ডিসকে ১৫ এবং ১০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। এরপর দাসুন শানাকা ছাড়া আর কেউই দশের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি।
শানাকা ১১, হাসারাঙ্গা ৬ এবং সান্দাকান ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। শেষদিকে বাংলাদেশি বোলারদের একটু ধৈর্যে্যর পরীক্ষা নেয় বৃষ্টি। ফলে ম্যাচ ১০ ওভার কমিয়ে ৪০ ওভারে লঙ্কানদের টার্গেট দেয়া হয় ২৪৫ রান। শেষ পর্যন্ত ১২ নেন উসুরু উদানা এবং দুশমান্থ চামিরা।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া দুটি উইকেট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারে দুশমান্থ চামিরার প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হযে তামিম ফেরার পরপরই আউট হন সাকিব। আউট হওয়ার পূর্বে তামিম ১৩ রান করলেই রানেই খাতায় খুলতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
তৃতীয় উইকেটে দেখে-শোনেই খেলছিলেন লিটন। কিন্তু তাকে বেশিক্ষণে ক্রিজে থাকতে দেননি লাকসান সান্দাকান। ফিরেছেন ২৫ রানে। আর মোহাম্মদ মিঠুনের পরিবর্তে খেলতে নামা মোসাদ্দেক ফেরেন ১০ রানে।
মাত্র ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে স্বাগতিকরা। এমন পরিস্থিতিতে পঞ্চম উইকেটে ৮৭ রানের জুটি গড়েন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ।
সান্দাকানের করা বল রিভারসুইপ খেলতে গিয়ে ব্যাটের কোণায় লেগে কটবিহাইন্ড হন মাহমুদউল্লাহ। আউট হওয়ার পূর্বে করেন ৪১ রান। এরপর ১০ রানে আফিফ এবং ১১ রানে সাইফউদ্দিন আউট হন। আর রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন মিরাজ ও শরিফুল।
শেষদিকে একাই লড়তে থাকা মুশফিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের নবম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১২৭ বলে ১২৫ রান তুলে আউট হন তিনি। দুর্দান্ত এই ইনিংসটি ১০টি চারে সাজানো।
Latest
For Advertisement
- প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
-
- গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
-
- হাসিনা রহমান শিপন,
- রাশিকুর রহমান রিফাত
Developed by WebsXplore