- সাকিবের না থাকা আমাদের জন্য চিন্তার কারণ: নান্নু
- সিলেটে বিএনপির ৪৩ নেতা আজীবন বহিষ্কার
- মধ্যরাতে দুঃখ প্রকাশ করলেন পরীমনি
- তীব্র গরম, মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা থাকলেও মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
- বাজেট ডিব্রিফিং সেশন এমপিদের গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিচ্ছে: স্পিকার
- ২ সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
- সামনের সব নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক হবে: শেখ পরশ
- ইউক্রেনে রাতভর আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া
- মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৯.৯৪ শতাংশ, এক দশকে সর্বোচ্চ

তামিমের সঙ্গী আজ লিটনই

‘উইনিং কম্বিনেশন’ বলে একটি চর্চা আছে ক্রিকেটে। জেতার ম্যাচের পরেরটায় একাদশে পরিবর্তন আনা হয় না সাধারণত। কিন্তু আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনার মুখে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন আসতেও পারে। লিটন দাস নাকি সৌম্য সরকার—উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবালের সম্ভাব্য সঙ্গী নিয়ে প্রশ্নটি তো পরশু প্রথম ওয়ানডের বিরতির সময়ই তুলে দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি একমাত্র টি-টোয়েন্টি ছাড়া ক্রিকেটের বাকি দুই ফরম্যাটে লিটনকে ওপেনার হওয়ার উপযোগী বলে মনে করেন না। এ দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি বদলে গিয়ে না থাকলে আজকের ম্যাচে তাই লিটনের খেলার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কানাঘুষা আছে, নিউজিল্যান্ড থেকে ফেরার পর বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণে একটি ‘কোর গ্রুপ’ গঠিত হয়েছে। একাদশ গঠনে এঁরাই সর্বেসর্বা। তাতে আজকের ম্যাচেও ওপেন করার কথা লিটন দাসের, সর্বশেষ সাত ম্যাচে যাঁর ব্যাটিং গড় ১০.৫৮। অথচ তাঁর উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী তামিমের সেসব ম্যাচের গড় ৪৩.১৪। চারটা ফিফটি আছে। লিটনের একটিও নেই।
তবু এই মুহূর্তে লিটনের বিকল্প কি কেউ আছেন? পরশু বোর্ড সভাপতির মন্তব্যের পর অবশ্য একটি নাম সামনে চলে এসেছে—সৌম্য সরকার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দুটি ওয়ানডের জন্য ঘোষিত তৃতীয় ওপেনার তো রয়েছেন এ বাঁহাতিই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সৌম্যও কোনো হাতি-ঘোড়া মারেননি। সর্বশেষ সাত ম্যাচে একটি ফিফটিতে তাঁর গড় মোটে ১৯। এর মধ্যে এক ম্যাচে সাত নম্বরে খেললেও বাকিগুলো টপ অর্ডারেই খেলেছেন তিনি। স্ট্যান্ডবাই তালিকায় অবশ্য একজন ওপেনার আছেন, নাঈম শেখ। কিন্তু ম্যাচ জিতে ওঠার ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে স্ট্যান্ডবাই থেকে কাউকে খেলিয়ে হৈচৈ ফেলতে আগ্রহী নয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
এমনিতেই দীর্ঘকাল তামিম ইকবালের যোগ্য উদ্বোধনী সঙ্গীর খোঁজে জীবনপাত করছেন নির্বাচকরা। ‘এই জায়গাটা নিয়ে আমরা অনেক দিন ধরেই স্ট্রাগল করছি। দীর্ঘ মেয়াদে কাউকে এখনো খুঁজে পাইনি’, একটু অসহায়ের মতোই ফোনে শোনায় নির্বাচক হাবিবুল বাশারের কণ্ঠ। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর তামিম ইকবাল সব ফরম্যাটে কতজন ওপেনারের পাশে খেলেছেন—সেই হিসাব রাখতে এখন তিনিও সম্ভবত হিমশিম খান। যত দূর মনে পড়ে, তামিমের ১৫তম ওপেনিং পার্টনার লিটন দাস। আর ব্যাটিং অর্ডারে ওঠা-নামা হিসাব করলে তামিমের সঙ্গী বদলের সংখ্যাটা বাড়বে বহুগুণ। তামিমের সঙ্গে ইনিংস শুরুর দাবিদার যে দুজন আছেন বর্তমান স্কোয়াডে—সেই লিটন আর সৌম্যই তো টপ আর মিডল অর্ডারে অদল-বদল হয়েছে কতবার।
যত বেশি পরিবর্তন, তত বেশি খেলোয়াড়ের মনের বিশ্বাস হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এত পরিবর্তনই কি তামিমের সঙ্গী বাছাইয়ের কাজটাকে কঠিন করে দিয়েছে? হাবিবুল বাশার মানতে রাজি নন স্বভাবতই, ‘দেখুন, আমাদের সময়ে কেউ কিন্তু বেশি সুযোগ পেত না। এখন প্রত্যেকে পর্যাপ্ত সময় পায়। কাউকে বাদ দিলেও কিন্তু আমরা ঝেরে ফেলে দিই না। তাকে বলে দেওয়া হয় ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করলে আবার ফিরে আসবে। (নাজমুল হোসেন) শান্তকেও একই কথা বলা হয়েছে। এখন কিন্তু বাদ দেওয়া মানে চিরতরে বাদ দেওয়া নয়।’
তবু প্রথম ওয়ানডেতে লিটনের আউট হওয়ায় আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি কেন থাকছে? টিম লিডার খালেদ মাহমুদের কাছে উত্তর নেই, ‘আমি জানি না। শুধু লিটন কেন, দলের ১৫তম ক্রিকেটারও জানে তাকে দলে নেওয়া হয়েছে সুযোগ দেওয়ার জন্যই। এখানে টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে অযাচিত কোনো চাপ নেই।’ তবে প্রত্যাশা আছে মাহমুদের, ‘আপনাকে পারফরম করতে হবে। এ ব্যাপারে কে তামিম আর কে লিটন কিংবা মিঠুন—সেসব বিবেচ্য নয়।’


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: