Sunday 19 May, 2024

For Advertisement

ওমানকে হারিয়ে আশা জিইয়ে রাখল বাংলাদেশ

20 October, 2021 10:10:50

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আগে ব্যাটিং করে নাঈমের ফিফটি ও সাকিবের ৪২ সত্ত্বেও ১৫৩ রানেই গুটিয়ে গেছে টাইগাররা। অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর বোলিংয়ে নেমেও একের পর এক হতাশার জন্ম দেন তাসকিন-মুস্তাফিজ-রিয়াদরা। এরপরও মাহেদী-সাকিব-সাইফুদ্দিনকে ছাড়িয়ে ত্রাতা সেই মুস্তাফিজই। যার বোলিং তোপে ২৬ রানের জয়ে সুপার টুয়েলভের আশা জিইয়ে থাকল বাংলাদেশের।

স্কটল্যান্ডের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত হারের পর জয়ের ধারায় ফিরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্য নিয়েই মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ওমানের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ।

দলটির করা ১৫৩ রানের জবাব দিতে নামা ওমান তাসকিনের প্রথম ওভারেই ১২ রান সংগ্রহ করলেও দ্বিতীয় ওভারে এসেই প্রথম হানায় উইকেট তুলে নেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। যাতে ১৩ রানেই প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৬ বলে ৬ রান করে ফেরেন আকিব ইলিয়াস। তবে ওই ওভারেই চারটি ওয়াইডসহ একটি ছক্কা খেয়ে ১২টি রান দেন মুস্তাফিজ।

পরের ওভারে আক্রমণে আসা সাইফুদ্দিন এসে রান দিলেও ওভারটি শেষ করেন হতাশ হয়ে আফসোস নিয়ে। কারণ ওই ওভারেই চতুর্থ বলে গালিতে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন ফিজ। যাতে হতাশ হয় লাখো-কোটি টাইগারভক্ত। হতাশা আর আফসোসের এখানেই শেষ নয়!

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে এবার নিজেই হতাশ হন মুস্তাফিজ। এবার কালপ্রিট স্বয়ং অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ফিজের স্লোয়ারে সোজা উইকেটের উপরে ক্যাচ তুলেও রিয়াদের হাত ফসকে বেঁচে যান আগের ম্যাচেই অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস খেলা যতিন্দর সিং (১০)।

একটি বল পরই ছক্কা হজম করা মুস্তাফিজ এবার তুলে নেন ১৮ বলে ২১ রান করা কাশ্যপ প্রজাপতিকে। যাতে ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ওমান। যদিও ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দারায় ওই দুই উইকেটেই ৭০ রান।

উড়তে থাকা ওমানকে এরপর চেপে ধরেন মাহেদী হাসান ও সাকিব মিলে। ত্রয়োদশ ওভারে অধিনায়ক জীশান মাকসুদকে (১২) সেই মুস্তাফিজের দুর্দান্ত ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মাহেদী। আর দুর্দান্ত খেলতে থাকা যতিন্দরকে থার্ডম্যানে লিটনের তালুবন্দী করেন সাকিব। ফেরার আগে ৩৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ওপেনার।

যাতে ৯০ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় ওমান। আর এই দুজনকে ফিরিয়েই যেন অনেকটা হাফ ছেড়ে বাঁচে টিম টাইগার। এরপর সাইফুদ্দিন ১৬তম ওভারে এসে সন্দীপ গৌড়কে (৪) তুলে নেয়ার পর ১৭তম ওভারে সাকিব এসে পরপর দুই বলে আয়ান খান (৯) ও নাসিম খুশিকে (৪) ফেরালে ১০৬ রানেই ৭ম উইকেট হারায় স্বাগতিক দল।

যাতে স্বস্তি ফিরে আসে টাইগার শিবিরে। এসময়েই অবশ্য হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে তা প্রতিহত করেন মোহাম্মদ নাদীম। ফলে চার ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় টাইগার তারকাকে।

এর আগে অবশ্য চার ওভারে মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট নিয়ে ওমানের উপর চাপ সৃষ্টি করেন শেখ মাহেদী হাসান। তবে ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করে সবাইকে ছাড়িয়ে যান কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ।

যাতে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানেই থামে ওমানের ইনিংস। আর ২৬ রানের জয়ে চলতি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখলো রিয়াদ বাহিনী। এজন্য শেষ ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনিকে হারাতে হবে টাইগারদের।

এদিন মাস্কাটের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে ব্যাটারদের সেই ব্যর্থতায় মাত্র ২১ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে আবারো বিপদে পড়ে দলটি। মাঝে সাকিব-নাঈম মিলে বিপর্জয় সামাল দিলেও শেষ দিকে যেন তাসের ঘরের মতই ভেঙে পড়ে ব্যাটাররা।

শুরুতেই ৬ রান করা লিটনের পর অসাধারণ এক ক্যাচের শিকার হয়ে শূন্য রানেই ক্রিজ ছাড়েন ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে ওয়ান ডাউনে নামা শেখ মাহেদী হাসান। এরপর অবশ্য বিপর্যয় সামলে নিয়ে ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে খেলতে থাকেন নাঈম ও সাকিব। চার-ছয়ের ফুলঝুরি ছুটিয়ে দুজনে মিলে গড়ে তোলেন ৫৩ বলে ৮০ রানের এক অনবদ্য জুটি।

যে জুটিতে দলীয় স্কোর একশ পার করে বাংলাদেশ। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত এক থ্রোতে ভেঙে যায় এই মেলবন্ধন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান-আউট হয়ে ফেরেন নিজের ছন্দে খেলতে থাকা সাকিব আল হাসান, ছুটছিলেন ফিফটির লক্ষ্যেই। তবে ৪২ রানেই ফিরতে হয় তাঁকে। তাঁর ২৯ বলের এই ইনিংসে ছিল ছয়টি দৃষ্টিনন্দন চারের মার।

সাকিব ফিরতেই যেন ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের ইনিংসেও। একে একে ব্যর্থ হয়ে ফেরেন মুশফিক-রিয়াদকে বসিয়ে রান বাড়াতে নামানো সোহান ও আফিফ। দুজনে ফেরেন যথাক্রমে ৩ ও ১ রান করে। পরক্ষণেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফিফটি হাঁকানো নাঈম শেখও। যার ফলে ২ উইকেটে ১০১ রান থেকে ১২২ রানেই ৬ উইকেট হয়ে যায় টাইগারদের স্কোর।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন নাঈম। বাঁহাতি এই ওপেনারের ৫০ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চারের সঙ্গে চারটি ছক্কার মার। এছাড়া শেষ দিকে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ১০ বলে ১৭ রানের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান তুলতে সক্ষম হয়।

ওমানের পক্ষে ১৯তম ওভারে মুশফিক ও সাইফুদ্দিনকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগানো পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত ফাইয়াজ বাট নিয়েছেন ৩টি উইকেট। তবে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেয়া বিলাল খানই ছিলেন সবচেয়ে সফল বোলার। এছাড়া কালিমুল্লাহ লাভ করেন ২টি করে উইকেট।

Latest

For Advertisement

সম্পাদক ও প্রকাশক:- এ এফ এম রিজাউর রহমান (রুমেল), এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  
  • প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সহযোগী-সম্পাদক:
    • গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
সহ -সম্পাদক:
    • হাসিনা রহমান শিপন,
নিউজ রুম ইনচার্জ :
    রাশিকুর রহমান রিফাত
© সকল স্বত্ব প্রতিচ্ছবি ডটকম ২০১৫ - ২০২২ অফিস: ৭২/২ উত্তর মুগদাপাড়া, ঢাকা ই-মেইল: dailyprotichhobi@gmail.com | মোবাইল: ০১৮১৮০৯৩১৩৭ ফোন:+৮৮০২৭২৭৭১৪৭

Developed by WebsXplore