আবার ব্রাজিলের সামনে পেরু
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দিব্যি উড়িয়ে দেওয়া দলই এবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ব্রাজিলের সামনে। ওই ম্যাচের স্কোরলাইন ৪-০ দেখে সেমিফাইনালে পেরুকে অবলীলায় তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ বলে চালিয়েও দেওয়া যায় হয়তো। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জন্য সমীকরণ এলেও অত সহজ হবে কি না, সে প্রশ্নও উচ্চারিত একই সঙ্গে। কারণ ওই একটি ম্যাচ বাদ দিলে পেরুকে দেখা গেছে অন্য চেহারায়ই। কলম্বিয়া ও ভেনিজুয়েলাকে হারানোর পাশাপাশি ইকুয়েডরের সঙ্গে ড্র করে ‘বি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় হয়েই নক আউট পর্বের টিকিট কেটেছিল তারা।
বিশেষ করে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর কোয়ার্টার ফাইনালে তারা দৃঢ় মানসিকতার জানান দিয়েছে আরেকবার। ৩-৩ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হওয়া ম্যাচ টাইব্রেকারে জিতে শেষ চার নিশ্চিত করা পেরুর মতো ব্রাজিলকেও কোয়ার্টার ফাইনালে পড়তে হয়েছিল কঠিন লড়াইয়ের মুখে। বল দখলের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে অনেকটা ‘কুংফু কিক’ মেরে গ্যাব্রিয়েল জেসুস লাল কার্ড দেখায় দল পড়ে যায় ভীষণ বিপদে। চিলির বিপক্ষে ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় একজন কম নিয়ে খেলতে হয় ব্রাজিলকে। ভাগ্যিস, এর একটু আগেই লুকাস পাকুয়েতা একমাত্র গোলটি করে রেখেছিলেন। বাকি সময় সেটিই ধরে রাখায় জোর দেওয়া ‘সেলেসাও’রা বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোর ৫টায় কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে পেরুর।
যে দেখাটা এবার একটু আগেভাগেই হয়ে যাচ্ছে। এমন না বলে উপায় কী! এই দুই দল তো ছিল গত আসরের ফাইনালিস্ট। এবার তাদের মধ্যে ফাইনালে ওঠার লড়াই। অবশ্য এই লড়াইয়ে ফুটবলপিপাসুদের সমর্থনের পাল্লা নিরঙ্কুশভাবে নেইমারদের দিকেই হেলে আছে। অন্য সেমিফাইনালে লিওনেল মেসিরা কলম্বিয়াকে হারাতে পারলে যে স্বপ্নের ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনালটিও দেখা হয় সবার! তবে পেরুর সামনেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলার হাতছানি। ব্রাজিলের সঙ্গে লড়াইয়ের পরিসংখ্যান তাদের পিছিয়ে রাখলেও গত এক দশকে কোপা আমেরিকায় তাদের সাফল্য উল্লেখ করার মতোই। ৪৯ ম্যাচের মধ্যে ব্রাজিলকে মাত্র পাঁচবার হারাতে পারা দলটির ২০১৯ সালে কোপার ফাইনালে খেলা যে কোনো অঘটন ছিল না, ইতিহাসও সে সাক্ষ্যই দিচ্ছে। ২০১১ ও ২০১৫-র আসরে তারা হয়েছিল তৃতীয়। একই সময়ে অবশ্য কোপায় ব্রাজিলের সময়টি কেটেছে দুঃসহই।
২০১১-১৬-র মধ্যে দুইবার তাদের বিদায় নিতে হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া ২০১৬-র আসরে তারা পেরোতে পারেনি গ্রুপ পর্বের বাধাই। তবে লাতিন আমেরিকান ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের আসরে নিজেদের হারানো ছন্দটা তারা আবার ধরেছে ২০১৯ সালে। সেবার ফাইনালে ট্রফি উঁচিয়ে ধরা ব্রাজিলের সামনে হতাশায় মুহ্যমান পেরুও দারুণ ধারাবাহিক। না হলে কি আর আবারও ফাইনালের প্রায় দুয়ারে চলে আসে তারা? গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া দলটি যে সেমিফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ক্ষেত্রই তৈরি করবে, সে আশায় তাই বাড়াবাড়ি নেই কোনো। গোল ডটকম
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: