দেশে করোনার অপরিচিত ধরন শনাক্ত

4 June 2021, 8:08:49

রাজধানীসহ দেশের পাঁচ জেলায় করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভেরিয়েন্ট বা ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া দেশে এখনো দক্ষিণ আফ্রিকান ভেরিয়েন্টসহ আরো দুটি অপরিচিত ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। সরকারের রোগ তত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআর শুক্রবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

আইইডিসিআরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ মে থেকে দোসরা জুন পর্যন্ত দেশের কয়েকটি এলাকা থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্য থেকে ৫০ জনের নমুনা সিকোয়েন্সিং করে এর মধ্যে ৮০ শতাংশ বা চল্লিশটির নমুনায় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট বা ভারতের ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ১৬ শতাংশ বা আটটি নমুনায় বিটা ভেরিয়েন্ট বা সাউথ আফ্রিকান ভেরিয়েন্ট এবং বাকি ৪ শতাংশ বা দুটি নমুনায় অপরিচিত দুটি ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। বিষয়টিকে আইইডিসিআর উদ্বেগজনক হিসেবে অভিহিত করে মানুষকে অধিকতর সতর্ক থাকার এবং সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। আইইডিসিআর ও বেসরকারি সংস্থা আইদেশি মিলে ওই পঞ্চাশ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছে।

আইইডিসিআর জানায়, এই পঞ্চাশটি নমুনার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সংগ্রহীত ১৬টি নমুনার ১৫ টিতে, গোপালগঞ্জ থেকে সংগ্রহীত সাতটি নমুনা সবগুলোতে, খুলনা থেকে সংগৃহীত তিনটি নমুনার সবগুলোতে এবং ঢাকা মহানগরীর চারটি নমুনার দুইটিতে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট বা ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় আসা ৭ জন রোগীর নমুনায় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ভারত থেকে আগত ডেল্টা ভেরিয়েন্ট আক্রান্ত বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা আরো ৩ জন রোগী চুয়াডাঙ্গা ও খুলনায় চিকিত্সাধীন আছেন।

ওই সূত্র অনুযায়ী, শনাক্তকৃত ডেল্টা ভেরিয়েন্ট রোগীদের মধ্যে তিনজনের বয়স ১০ বছরের নিচে, সাত জনের বয়স ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে, ১০ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের এর বয়স ৫০ বছরের উপরে। যাদের মধ্যে ২৪ জন রোগী পুরুষ।

এদিকে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট এ আক্রান্তদের মধ্যে আটজনের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ভ্রমণের ইতিহাস আছে এবং ১৮ জনের বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার ইতিহাস আছে। অপর ১৪ জন রোগীর বাংলাদেশের বাইরে ভ্রমণ অথবা বিদেশ থেকে আগত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কোনো ইতিহাস পাওয়া যায়নি। ফলে ওই ১৮ জনের তথ্য বিশ্লেষণে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্টের কমিউনিটি সংক্রমণ হয়েছে বলে আইইডিসিআর উল্লেখ করেছে।

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড এ এস এম আলমগীর কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা যেগুলো নমুনা সিকোয়েন্সিং করেছি অবশ্যই এর বাইরে ও এসব ভেরিয়েন্ট আরো ছড়িয়ে থাকতেই পারে। তবে সেটি কোথায় কতটা ছড়িয়েছে সেটা এখনই বের করা সহজ নয়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে দেশে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট আছে এবং সামাজিকভাবে এটি সংক্রমিত হয়েছে তাই সবাইকে বিষয়টি জানা দরকার এবং সেই অনুযায়ী সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।