মাদক নিরাময় কেন্দ্রে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

23 May 2021, 7:58:24

যশোর মাদক নিরাময় কেন্দ্রে মাহফুজুর রহমান (২০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর আগে ওই যুবককে মারপিটের একটি সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ।

অভিযোগ উঠেছে শনিবার ওই যুবকের মৃত্যুর পর তার লাশ প্রতিষ্ঠানটির সদস্যরা যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেখে চলে যায়। এরপর পরিবারের লোকজন জীবননগর থেকে এসে রোববার দুপুরে হত্যার অভিযোগ তোলেন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

নিহত মাহফুজুর রহমান চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মনিরুজ্জামানের ছেলে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- যশোর মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক মাসুম করিম ও আশরাফুল কবিরকে আটক করে। এছাড়া এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেজাউল করিম, ওহেদুজ্জামান, ওহিদুল ইসলাম, আল শাহরিয়া, শাহিনুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, শরিফুল ইসলাম, এএসএম সাগর আলী, অহেদুজ্জান সাগর, নুর ইসলাম, রিয়াদ ও আরিফুজ্জামান।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) বেলাল হোসাইন বলেন, মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিকসহ ১৪ জন মিলে ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে অবহিত করে অজ্ঞাত লাশের ব্যাপারে। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে ওই যুবকের স্বজনরা হাসপাতালে এসে শনাক্ত করে। এরপর তার লাশ মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, পুলিশ তদন্তে নেমে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মারপিটের কথা স্বীকার করেছে। প্রতিষ্ঠানটির সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে মারপিটের সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনায় জড়িত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের পিতা রোববার কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

নিহতের চাচা সাইদুর রহমান বলেন, আমার ভাতিজা মাহফুজ মাদকসেবী। তাকে গেল ২৬ এপ্রিল যশোরে মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। শনিবার বিকালে খবর পাই তাকে ওই প্রতিষ্ঠানের লোকজন মারপিট করে হত্যা করেছে। পরে লাশ অজ্ঞাত হিসাবে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রেখে চলে যায়। আমারা পরিবারের লোকজন এসে লাশ হাসপাতালের মর্গে পাই।

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।