স্পিনারদের আধিপত্যে দিন শেষে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

1 May 2021, 7:21:50

প্রথম দুই দিন ছিল ব্যাটসম্যানদের। যাতে ফায়দা নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিন ঠিক উল্টো। ১৩ উইকেট পড়েছে এই দিনে, যাতে স্পিনারদের পকেটে গেছে ১০ উইকেট। দিন শেষে সুবিধাজনক অবস্থানে শ্রীলঙ্কা। ২৪২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামা শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনে বাংলাদেশ আঘাত করেছে ১৫ রানের মধ্যে ২ উইকেট নিয়ে। ২৫৯ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিন মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা, তাদের স্কোর ২ উইকেটে ১৭ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা: দ্বিতীয় ইনিংস- ৭ ওভারে ১৭/২ (করুণারত্নে ১৩*, ম্যাথুজ ১*); প্রথম ইনিংস ৪৯৩/৭ ডিক্লে.। বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস- ২৫১

মিরাজের পর তাইজুলের উচ্ছ্বাস

ক্যান্ডির পাল্লেকেলের পিচ স্পিনারদের স্বর্গ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ ২ রানের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরালো। ১৪ রানে লাহিরু থিরিমান্নে (২) আউট হন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। পরের ওভারে ওশাডা ফার্নান্ডোকে স্টাম্পিং করেন তাইজুল ইসলাম। মাত্র ১ রান করেন প্রথম ইনিংসে ৮১ রান করা ওশাডা।

মিরাজের স্পিনে ভাঙলো উদ্বোধনী জুটি

মাত্র ১৪ রানে ভাঙলো শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি। ২৪২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে সফরকারীরা। দিন শেষ হওয়ার আগে লাহিরু থিরিমান্নে আউট হয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ১৪০ রান করা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ২রানে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানান মেহেদী হাসান মিরাজ।

বাংলাদেশকে ফলো অনে পাঠায়নি শ্রীলঙ্কা

হাতে দুই দিনেরও বেশি সময় আছে। লিডও ছিল ২৪২ রানের। তাই বাংলাদেশকে ফলো অনে পাঠানোর সুযোগ থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামলো শ্রীলঙ্কা। বড় লক্ষ্য দেওয়ার ইচ্ছা তাদের। এর আগে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। ঝবাবে বাংলাদেশ ২৫১ রানে গুটিয়ে যায়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা- ৪৯৩/৭ ডিক্লে. ও ১ ওভারে ৫/০ (করুণারত্নে ৫*, থিরিমান্নে ১*)। বাংলাদেশ: ৮৩ ওভারে ২৫১

ফলো অনে বাংলাদেশ

ফলো অন এড়াতে পারলো না বাংলাদেশ। স্পিনারদের কাছে নাকাল ব্যাটসম্যানরা শেষ দুটি উইকেট হারালো পেসার সুরাঙ্গা লাকমলের কাছে। ২৫১ রানেই গুটিয়ে গেছে তারা। এখনও পিছিয়ে ২৪২ রানে।

দিমুথ করুণারত্নের কথাই মিলে যাচ্ছে। দ্বিতীয় টেস্টের পিচ প্রথম দুই দিন থাকবে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে। আর শেষ তিন দিন স্পিনারদের আধিপত্য দেখা যাবে। এই সম্ভাবনা মাথায় রেখে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে পুরো সুযোগ গ্রহণ করলো শ্রীলঙ্কা। ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে তৃতীয় দিনের প্রথম সকালে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। এরপর দুই স্পিনার প্রবীণ জয়াবিক্রমা ও রমেশ মেন্ডিসের ঘূর্ণি জাদু।

প্রবীণ একাই ভুগিয়েছেন বাংলাদেশকে। ৬ উইকেট নেন তিনি। আরেক স্পিনার রমেশ পান দুটি উইকেট। শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে বিদায় করেছেন সুরাঙ্গা লাকমল।

অথচ তামিম ইকবালের ব্যাটে ভালো কিছুর আভাস দিয়েছিল স্বাগতিকরা। ২ উইকেটে ৯৯ রানে যায় লাঞ্চ বিরতিতে, তামিম আউট হলেও দ্বিতীয় সেশনও খুব বেশি সমস্যা হয়নি। ৪ উইকেটে ২১৪ রান করে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। শেষ সেশনে উইকেট হারানোর মিছিলে নামে তারা। এই সেশনে ২৭ রানের ব্যবধানে শেষ ছয় উইকেট হারায় সফরকারীরা।

ফলো অন এড়াতে পারবে বাংলাদেশ?

২৪৩ রানে বাংলাদেশের ৮ উইকেটের সবগুলো নেন শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা। নতুন বল হাতে নিয়ে পেসারও নাম লেখালেন উইকেটশিকারির খাতায়। সুরাঙ্গা লাকমল বোল্ড করেছেন শরিফুল ইসলামকে। ২৪৬ রানে নেই ৯ উইকেট। ফলো অন এড়াতে করতে হবে ২৯৪ রান। শ্রীলঙ্কার স্পিনে টালমাটাল তাদের ব্যাটিং লাইন আপ।

অভিষেকে দুর্দান্ত প্রবীণ জয়াবিক্রমা। শ্রীলঙ্কার এই স্পিনার অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নেন। চা বিরতির পর তার চতুর্থ শিকার হন লিটন দাশ। ১১ বলে ৮ রান করে স্লিপে লাহিরু থিরিমান্নের ক্যাচ হন বাংলাদেশের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ২২৪ রানে ষষ্ঠ উকেট হারায় বাংলাদেশ।

প্রবীণ পরে মেহেদী হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান এলবিডাব্লিউর আউটের বিরুদ্ধে রিভিউ নিয়েও টিকে থাকতে পারেননি। ১৬ রানে আউট হন মিরাজ। পরে তাসকিন আহমেদকে এলবিডাব্লিউ করেন এই স্পিনার। রিভিউ নিয়ে শ্রীলঙ্কা পায় অষ্টম উইকেট।

প্রবীণের সঙ্গে রমেশ মেন্ডিসও স্পিনে ভোগান বাংলাদেশকে। সফরকারীদের আট উইকেটের সবগুলো গেছে এই দুই স্পিনারের ঝুলিতে।

১ রানের আক্ষেপ মুমিনুলের

মাত্র একটি রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি করতে পারলেন না মুমিনুল হক। রমেশ মেন্ডিসের ফুল টসে ৪৯ রানে এলবিডাব্লিউ হন তিনি। লঙ্কান স্পিনারের জোরালো আবেদনে কয়েক সেকেন্ড ভাবার পর আঙুল তোলেন আম্পায়ার, রিভিউ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি অধিনায়ক। ১০৪ বলে ৭ চারে সাজানো ছিল মুমিনুলের ইনিংস। লিটনের সঙ্গে তার জুটি মাত্র ১০ রানের।

মুশফিকের বিদায়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ

হাফ সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরে থাকতে আউট হলেন মুশফিকু রহিম। প্রবীণ জয়াবিক্রমা এলবিডাব্লিউর আবেদন করলে আম্পায়ার আউট দেননি। শ্রীলঙ্কা রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়। ৬২ বলে ৭ চারে সাজানো ছিল মুশফিকের ৪০ রানের ইনিংস। মুমিনুল হকের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৬৩ রানের। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান করেছে।

মুশফিকের চারে দুইশর ঘরে বাংলাদেশ

৫৮তম ওভারের চতুর্থ বলে প্রবীন জয়াবিক্রমাকে চার মেরে বাংলাদেশকে দুইশর ঘরে নিলেন মুশফিকুর রহিম। তার সঙ্গে ক্রিজে আছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। ৩ উইকেটের বিনিময়ে বাংলাদেশ দুইশতে পৌঁছালো।

আবারও নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার তামিম

নব্বইয়ের ঘরে গেলে তামিম ইকবালের হাসফাঁস অবস্থা। স্নায়ুচাপ চেপে ধরে তাকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টে দ্বিতীয়বার নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯০ রানে আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ৭৪ রানে। আলোর স্বল্পতায় শেষ দিনের শেষ সেশনের খেলা পরিত্যক্ত হলে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। এবারও শতরানের দুয়ার থেকে ফিরে গেলেন তামিম।

মাত্র ৮ রানের জন্য হলো না সেঞ্চুরি। শুরু থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং করলেও ৫৭ বলে ৩১তম ফিফটি হাঁকানোর পর সতর্ক ছিলেন তামিম। ৪২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দুটি রান নিয়ে ঢুকলেন নব্বইয়ের ঘরে, ৯১ রান। পরের রানটি করতে খেললেন আরও ৬ বল। চাপ আর নিতে পারলেন না। এর দুই বল পর তার ব্যাট ছুঁয়ে স্লিপে লাহিরু থিরিমান্নের হাতে ধরা পড়লেন। প্রবীন জয়াবিক্রমা গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নিলেন। ১৫০ বলে ১২ চারের ইনিংসটি আবারও আক্ষেপে পোড়ালো তামিমকে। মুমিনুল হকের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫২ রানের।

দুইবার জীবন পেলেন মুমিনুল

মুমিনুল হকের কপালই বলতে হবে। দুইবার তার ক্যাচ ফেলে দিলো শ্রীলঙ্কা। প্রথমবার ৩০তম ওভারে, আরেকবার ৩৬তম ওভারে। দুই ওভারই করেন প্রবীণ জয়াবিক্রমা। মুমিনুলকে প্রথমবার ১ রানে জীবন দেন স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে থাকা রমেশ মেন্ডিস। তার হাত ফসকে বল বাউন্ডারি ছাড়ায়। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ আউট করতে পারেননি দিমুথ করুণারত্নে, ১১ রানে আবার বেঁচে যান অধিনায়ক।

তামিমের চারে বাংলাদেশ একশ ছাড়িয়ে

লাঞ্চের আগে টানা দুই ওভারে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানের ঘোষিত ইনিংসের জবাবে প্রথম সেশন তারা শেষ করে ২ উইকেটে ৯৯ রানে। লাঞ্চের পর ফিরে এসে তামিম ইকবালের ১২তম চারে সফরকারীরা একশ ছাড়ায়।

লাঞ্চের আগের দুই ওভারে পড়লো ২ উইকেট

তামিম ইকবালের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগের দুই ওভারে উইকেট হারালেন সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনেই স্পিনে পরাস্ত। প্রবীণ জয়াবিক্রমার কাছে আউট হন সাইফ (২৫)। আর প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া শান্ত টানা দ্বিতীয়বার ডাক মারলেন। চার বল খেলে রমেশ মেন্ডিসের স্পিনে স্লিপে লাহিরু থিরিমান্নের ক্যাচ হন তিনি।

২৫ রানে আউট সাইফ

আগের টেস্টে ০ ও ১ রান করেছিলেন সাইফ হাসান। বড় জুটিও গড়তে পারেননি তামিম ইকবালের সঙ্গে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও যে বড় কোনও ইনিংস খেলতে পেরেছেন তা নয়। ৯৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে বিদায় নিয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান, ২৫ রান করেছেন ৬২ বল খেলে। ইনিংসে ছিল চারটি চার ও একটি ছয়। প্রবীণ জয়াবিক্রমার বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ক্যাচ হন তিনি।

তামিমের টানা তৃতীয় ফিফটি

ক্যান্ডিতে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসের পর দ্বিতীয় টেস্টেও হাফ সেঞ্চুরি করলেন তামিম ইকবাল। শুরু থেকে ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। তাতে প্রথম সেশনেই ৫৭ বল খেলে ৮ চারে পেয়ে যান ৩১তম ফিফটি। প্রথম টেস্টে ৯০ ও ৭৪ রান করেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শুরু তামিমের

আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শুরু করেছেন তামিম ইকবাল। তৃতীয় বলেই চার মারেন তিনি। আগের বলেই সুরাঙ্গা লাকমল তার বিরুদ্ধে এলবিডাব্লিউর আপিল করেন। রেফারি নট আউট দিলে রিভিউ নেয় শ্রীলঙ্কা। বল পিচ আউটসাইড লাইনে থাকায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে, রিভিউ নষ্ট হয় স্বাগতিকদের।

এই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেই যাচ্ছেন তামিম। ৫ ওভার শেষে দলের ২৩ রানের মধ্যে মধ্যে ২১ রানই ছিল বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। চতুর্থ ওভারে বিশ্ব ফার্নান্ডোকে পর পর দুটি চার মেরেছেন। অন্য প্রান্তে থাকা সাইফ হাসান রানের খাতা খোলেন ষষ্ঠ ওভারে।

এর আগে চার উইকেট হাতে রেখে তৃতীয় দিন মাঠে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা, রান ছিল ৪৬৯। দিনের চতুর্থ ওভারে রমেশ মেন্ডিস আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। ৭ উইকেটে ৪৯৩ রান স্বাগতিকদের।

তাসকিন নতুন দিনে দ্বিতীয় ওভারে পান নিজের চতুর্থ উইকেট। রমেশকে ৩৩ রানে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান। অন্য প্রান্তে ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন নিরোশান ডিকবেলা। মাত্র ২৩ রানের জন্য প্রথম সেঞ্চুরি হলো না তার।

তাসকিন ৩৪.২ ওভারে ৭ মেডেনসহ ১২৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন।

শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) ছিল সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ একটা দিন। স্পিন ও পেস দিয়ে বাংলাদেশ আদায় করে ৫ উইকেট, শ্রীলঙ্কাও দ্বিতীয় দিনে দুই ফিফটিতে বড় সংগ্রহের পথে ছুটছিল। বাংলাদেশের এই উইকেট উদযাপনের দিনে নিরোশান ডিকবেলা পাল্টা আক্রমণ করে ১৮তম ফিফটি হাঁকান। তার সঙ্গে রমেশের জুটি ছিল ১১১ রানের।

শ্রীলঙ্কার বড় সংগ্রহে লাহিরু থিরিমান্নে ১৪০ রানের সেরা ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে করেন ১১৮ রান। এছাড়া ওশাডা ফার্নান্ডোর ব্যাটে আসে ৮১ রান।

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।