শিশুর খিঁচুনি বা মৃগী রোগ

1 February 2023, 7:05:16

মস্তিষ্কের কোনো অংশে অস্বাভাবিক ইলেকট্রিক্যাল ডিসচার্জ হওয়ায় অনেক সময় মস্তিষ্কের কার্যকরী অংশ নষ্ট হয়ে যায়। আর এই ডিসচার্জের ধরনের ওপর অন্যান্য উপসর্গ নির্ভর করে। মস্তিষ্কের যে অংশ আমাদের চেতনা নিয়ন্ত্রণ করে সেটিও অকার্যকর থাকতে পারে। নিয়ন্ত্রণহীনতা অস্বাভাবিক হলে পায়ে ঝাঁকুনি ও শরীরে অস্বাভাবিকতা শুরু হয়। একটি পর্যবেক্ষণে জানা গেছে, ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত তিন শতাংশ শিশুর মৃগীরোগের আশঙ্কা থাকে। বড়দের ক্ষেত্রে এমন সমস্যা হয় না। তাই আপনার শিশুর ক্ষেত্রে আগে থেকেই সতর্ক অবস্থান নেওয়া জরুরি।

উপসর্গ

বারবার বাচ্চার জ্বর হয় এবং অজ্ঞান হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
কিছুক্ষণের জন্য বাচ্চা অজ্ঞান হয়ে যায়।

মস্তিষ্কের যে অংশে ডিসচার্জ হয় সে অংশে স্থায়ী ক্ষয়ক্ষতি হয়না।
কাশি কমছেই না, যা করবেন কাশি কমছেই না, যা করবেন
এপিলেপ্সির কারণ

৭০ শতাংশ কেসে এপিলেপ্সির আসল কারণ জানা যায় না। ডাক্তাররা অবশ্য এর পেছনে বংশানুক্রমিকের দায় কিছুটা খুঁজে পান। তবে মৃগীরোগের কিছু কারণ হলো:

বাচ্চারা সচরাচর আঘাত পায় বেশি। মাথায় কখনো জোরে আঘাত পেলে এই সমস্যা হয়।
মেনিনজাইটিসের কারণে বাচ্চাদের এই সমস্যা হতে পারে।

মেটাবলিক ডিজঅর্ডার থাকলেও মৃগীরোগ হতে পারে।

কথায় কথায় শিশু মিথ্যা বলছে?কথায় কথায় শিশু মিথ্যা বলছে?
চিকিৎসা

প্রায় ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে বাচ্চাকে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। খুব কম ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপাচারের প্রয়োজন হয়। মৃগীরোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী হয়। যদি শিশুর মাথা স্ক্যান করান। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এপিলেপ্সির ধরন আগে শনাক্ত করুন।

মনে রাখবেন

মৃগীরোগে আক্রান্ত বাচ্চা অজ্ঞান হলে মুখে চোখে পানি দেওয়া যাবে না। তাতে লাভ নেই কোনো। অনেকে জুতোর গন্ধ শোকান। এটি প্রচলিত ভুল ধারণা। বরং আশপাশে ধারালো বা আঘাত পেতে পারে এমন জিনিস সরিয়ে রাখুন।

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।