মহাকাশে এবার ফিলিং স্টেশন

16 September 2021, 5:54:19

কিছু দিনের মধ্যেই মহাকাশে পৃথিবীর কক্ষে ঘুরতে থাকা উপগ্রহের জ্বালানি ভরবে মহাকাশের জ্বালানি পাম্প। ফলে জ্বালানি শেষ হওয়ার কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার ঘটনা আর ঘটবে না। কিংবা যারা চাঁদ কিংবা মঙ্গলের যাত্রায় যাবেন, তাদেরও জ্বালানি খুঁজতে হবে না।

এ বছরের জুন মাসে সান ফ্রান্সিস্কো তে অবস্থিত একটি স্টার্ট আপ কোম্পানি পৃথিবীর কক্ষপথে প্রোটোটাইপ রিফুয়েলিং স্টেশন লঞ্চ করে দিয়েছে। যা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে। কোম্পানির নাম অরবিট ফ্যাব। কোম্পানির রিফুয়েলিং স্টেশন এর নাম তেনজিং-০০০১। সম্প্রতি কোম্পানি ১০ মিলিয়ন ডলারের অর্থাৎ ৭৩.৬৭ কোটি টাকা তহবিল পেয়েছে।

এই রিফিলিং স্টেশনের সবচেয়ে বড় সুবিধা পাবে সেই সমস্ত দেশগুলি, যে সমস্ত দেশের স্যাটেলাইটের ইন্ধন শেষ হয়ে গিয়েছে। এগুলিতে জ্বালানি ভরে আবার সক্রিয় সম্ভব। ফলে পুরনো স্যাটেলাইটগুলিকে মহাকাশে রিফিল বা নতুন করে ভরে দিতে নতুন করে আর স্যাটেলাইট পাঠাতে হবে না। পুরনো স্যাটেলাইটগুলিই কাজ করতে পারবে। এদিকে এতে একদিকে যেমন খরচ কমবে, তেমনই মহাকাশের স্যাটেলাইট এর ট্রাফিক জ্যাম হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হবে ট্রাফিক কমে যাওয়ার ফলে দুটি উপগ্রহ নিজেদের মধ্যে ধাক্কা খেয়ে পৃথিবীর দিকে ফিরে আসার সম্ভাবনা কমবে। ভবিষ্যতে চাঁদে ও মঙ্গলে যাওয়ার পথে অ্যাস্ট্রোনট রাও নিজেদের মহাকাশযানে এখান থেকে জ্বালানি করতে পারবেন।

সূর্যের কক্ষপথে স্যাটেলাইট এই পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে থাকবে। পাশাপাশি এটি থেকে লাগানো ক্যামেরা পৃথিবীর ছবিও তুলতে থাকবে এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পাঠাতে থাকবে পৃথিবীতে। ফলে এখন থেকে পৃথিবীর কক্ষপথে বাড়তি বোঝা লাঘব হবে। সেই সঙ্গে বাড়তি সমস্যাও কমবে জ্বালানি সংক্রান্ত।

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।