বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না: তাপস

18 March 2021, 9:33:56

বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না, তিনি চিরন্তন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগর ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তাপস বলেন, ‘পঁচাত্তরের পরে বিভিন্ন চক্র এই দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আজকে প্রমাণিত, বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায় না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাঙালি জাতির অন্তরের অন্তস্তলে বাস করেন। যিনি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, যিনি ইতিহাস রচনা করেছেন, তিনি চিরন্তন।’

এসময় স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে কেউ কেউ অযথা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে ডিএসসিসি মেয়র তাপস বলেন, ‘২৭ মার্চ কেউ একজন বলে বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করেছেন যে স্বাধীনতা। সেই থেকে বলে, স্বাধীনতা হয়ে গেছে! প্রথম কথা হলো, আমার মতো যেকোনও ব্যক্তি ঘোষণা দিলেই স্বাধীনতা হয়ে যায় না। সে স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য অধিকার লাগে, সে স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য নেতৃত্ব লাগে। সুতরাং যে কেউ বেতার কেন্দ্র থেকে কিছু পাঠ করলেই স্বাধীনতা হয়ে যায় না।’

ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনকারী প্রত্যেকটি জাতির স্বাধীনতার ঘোষণা (ডিক্লারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্স) লাগে, প্রোক্লামেশন অফ ইন্ডিপেন্ডেন্স লাগে, যেটা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই প্রোক্লামেশন অব ইনডিপেনডেন্স হয়েছিল, যখন ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়েছিল। সেই মুজিবনগর সরকারে তার কী অবস্থান ছিল? সেই প্রোক্লামেশন অব ইনডিপেনডেন্সে সেই বাণীটা কেনও এলো না, তিনি সেই ব্যক্তি যে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন? প্রোক্লামেশন অব ইনডিপেন্ডেন্স গ্রহণের সময় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে আটক। কিন্তু প্রোক্লামেশন অব ইনডিপেনডেন্সে এসেছে, বঙ্গবন্ধু আটক হওয়ার আগেই ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নে বিশ্বস্বীকৃতি পেয়েছে, তখন আবার দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাই প্রস্তুত থাকতে হবে।’

হাছান মাহমুদ এই সময় দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনের রাত থেকেই পাঁচ বছর বাংলাদেশের ওপর কী নির্যাতন-নিপীড়ন চলেছে; বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থক-ভোটার সবাইকে নির্যাতন করা হয়েছিল, যেন আমরা ঘুরে দাঁড়াতে না পারি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’

আলোচনা সভায় বক্তব্য পর্বের পূর্বে ডিএসসিসির আওতাধীন হাসপাতাল ও মাতৃসদনে আজ জন্ম নেওয়া ২২ শিশুকে নাগরিক সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে অতিথিরা ও উপস্থিত সবাই ডিএসসিসির সংগীত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লেজার প্রদর্শনী ও বর্ণিল আতশবাজি উপভোগ করেন।

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।