টিকা দিতে পারলে আর কোনো চিন্তা নেই: প্রধানমন্ত্রী

27 July 2021, 10:03:48

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে চলায় সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবাইকে টিকা দিয়ে দিতে পারলে আর কোনো চিন্তা থাকবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। গ্রামের মানুষেরা সহজে যাতে টিকা নিতে পারে সেজন্য জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে তা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।

মঙ্গলবার বিকালে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

করোনার টিকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একেবারে গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। সেখানে সবাই শুধু রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তা না, আইডি কার্ড দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে সরাসরি টিকা নিতে পারবে। সেই জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের মানুষকে সহযোগিতা করার আহ্বান করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের কাছে একটা ভয় ও আতঙ্ক ছিল যে, টিকা নিলে কী হবে? অনেক কিছু হয়ে যাবে। নানা রকমের একটি ভীতি ছিল। এখন সবাই আস্তে আস্তে সেই ভীতি কাটাচ্ছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘একটা সমস্যা এখনো রয়েছে। যেটা আমি গ্রাম থেকে খবর পাই। কেউ করোনা টেস্ট করতে চায় না। তাদের ধারণা, টেস্ট করলে করোনা আছে শুনলে সে অচ্ছুত হয়ে যাবে, তার সাথে মানুষ মিশবে না। এই ভয় করে। কিন্তু এটাতো ঠিক না। টেস্ট করলে তার যে চিকিৎসা হবে, সেই অন্যকে সংক্রমিত করবে না। নিজে বাঁচবে এবং অন্যকে বাঁচাবে এই ধারণাটা মানুষের মধ্যে দিতে হবে। এটা আমাদের সকল নেতাকর্মী সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে। তাছাড়া টিকা দিয়ে দিতে পারি, তাহলে আর কোনো চিন্তা নাই। সেক্ষেত্রে করোনা হলেও বেশি ক্ষতি হচ্ছে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে সবার সুরক্ষিত থাকা দরকার। ইতিমধ্যে টিকা যেখানে যা পাওয়া যাচ্ছে তা আমরা কিনছি। তার জন্য টাকাও রাখা আছে। প্রয়োজনে আরও টাকা খরচ করবো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মোতাবেক যারা টিকা নিতে পারবে, তার সবাই যাতে টিকা নিতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। ইতিমধ্যে এক কোটি ৮৭ লাখের কাছাকাছি টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। আমরা আরও টিকা দিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে এই দেশের মানুষ অনুভব করতে পারলো যে, সরকার জনগণের সেবক। যেটা জাতির পিতা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমারও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলি। আমরা জনগণের জন্য এবং তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করবো। মঙ্গলের জন্য কাজ করবো।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন। তার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। ১৯৭১ সালের এই দিনে জয়ের জন্ম হয়। সেই সময় আমরা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দী ছিলাম। তারা আমাকে হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু মাকে যেতে দেয়নি। আম্মাকে তারা বলেছিল হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স আছেন, তারা দেখবেন। আপনিতো এগুলোর কিছুই না। আপনি গিয়ে কি করবেন? আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি আমার ছেলেটা সুস্থভাবে জন্ম নিয়েছিল।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এই সময়ে আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাস দেখা দিয়েছে। এটা গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। দুঃখজনক হলেও আজকে প্রায় দুই বছর ধরে করোনার কারণে জয়ের সঙ্গে দেখা হয়নি। দেখা হচ্ছে না।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চলনায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।