চালের দামে অস্বস্তি, সবজি ও নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি

10 July 2021, 6:15:15

দেশজুড়ে চলছে কঠিন লকডাউন ৯ম দিন। গত সপ্তাহে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছিল। এক সপ্তাহ ব্যবধানে কিছুটা দাম কমেছে নিত্যপণ্যে ও সবজির দাম। তবে এ সময় চলের দাম বেড়েছে।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা যায় চাল ও সবজি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা জানা যায়, বন্যা, বৃষ্টি ও লকডাউনের কারণে চালের দাম কেজিতে ৫-৮ টাকা বেড়েছে। তবে বাজারে ক্রেতা কম আসায় সবজির ও মুরগির দাম কমেছে।

শুক্রবার (০৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। সেখান থেকে জানা যায়, বাজারে বেশিরভাগ সবজির কেজিতে দাম কমেছে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। এসব বাজারে প্রতি কেজি বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। চাল কুমড়া কেজি ৪০-৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমরার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ভেন্ডি ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, কচুর গাট ৫০ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি ৪০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসার দাম ৪০ টাকা কেজি। কাকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ীর সবজি ব্যবসায়ি আলী হাসান জানান, লকডাউনের আগে সবজির দাম বেড়েছিল। লকডাউনে বাইরে থেকে বাজারে অন্য পাইকার ঢুকতে না পারায় সবজির দাম কমে যাচ্ছে। বাজারে ক্রেতা কম আসায় এখনও সবজির দাম কম।

বাজারে ডিম, আলু ও পেঁয়াজে আগের দাম থাকলেও শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০-১৩০ টাকা, আদার দাম বেড়ে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। এছাড়াও প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮০ টাকায়।

এদিকে বাজারে প্রতি কেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকায় বিক্রি হলেও ২০ টাকা দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। লেয়ার মুরগি কেজি ২৫০ টাকা। বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা।

সবজি ও নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি থাকলেও বাজারে প্রতি কেজি চালে দাম বেড়েছে ৪-৫ টাকা। দাম বাড়ে বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, পোলাওয়ের চাল আগের দামেই ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাড্ডার চাল ব্যবসায়ি মনির হোসেন জানান, আড়ৎদাড়রা বন্যা, বৃষ্টি ও লকডাউনের ওজুহাতে চালের দাম বাড়িছেছে তাই আমরা কেজিতে ৫-৮ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।