ইভ্যালিতে গ্রাহকের সাড়ে তিনশো কোটি টাকার অনুসন্ধান করবে দুদক

8 July 2021, 7:43:00

হঠাৎই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া দেশের অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি তার গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে অগ্রিম হিসাবে নেয়া প্রায় ৩৩৯ কোটি টাকার সন্ধান না পাওয়ায় এর অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

বৃহস্পতিবার দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র আরও জানায়, ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকের কাছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি সুপারিশ পাঠানো হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সেই চিঠি কমিশনের সভায় উত্থাপনের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্তে এই বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করবে দুদক।

ইভ্যালির অর্থ ‘কেলেংকারি’ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। গ্রাহকদেরকে ইভ্যালির পণ্য দেওয়ার যে প্রক্রিয়া, সেটি ‘মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে মন্তব্য দুদক কর্মকর্তার।

এর আগে গত রবিাবর (৪ জুলাই) ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ চার সরকারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত করে যে প্রতিবেদন তৈরি করে সেখানে দেখা যায়, ১৪ মার্চে ইভ্যালির মোট সম্পদ ৯১ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার ৮৪৬ টাকা। মোট দায় ৪০৭ কোটি ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৪ টাকা। যেখানে তার একই তারিখে গ্রাহকের কাছে ইভ্যালির দায় ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টের কাছে দায় ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকা।

অন্যদিকে ওই তারিখ পর্যন্ত ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে ২১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬ হাজার ৫৬০ টাকা এবং মার্চেন্টদের কাছ থেকে ১৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৪ টাকার মালামাল কেনার পর প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ ১ হাজার ৯১৪ টাকার সম্পদ থাকার কথা থাকলেও, বিভিন্ন হিসাবে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ দেখাচ্ছে ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৬ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইভ্যালি তাদের বর্তমান যে সম্পদ আছে তাদে তারা মাত্র ১৬.১৪ শতাংশ গ্রাহকের হাতে পণ্য পৌছাতে পারবে। আর বাকি গ্রাহকদের কোনোভাবেই পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব না। এই অবন্থা বাংলাদশে ব্যাংক ধারণা করছে গ্রাহক ও মার্চেন্টের কাছ থেকে নেওয়া ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ ১৮ হাজার ১৭৮ টাকা আত্মসাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।