লকডাউনে রূপচর্চা

7 July 2021, 12:24:28

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন দেওয়া হয়েছে। অন্য সবকিছুর মতো পার্লাারগুলোও বন্ধ। এতে ব্যাঘাত ঘটেছে রূপ সচেতন নারীদের নিয়মিত রূপচর্চায়। এ সময়ে হেয়ার ড্রেসারকে ঘরে ডাকা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আবার লকডাউনের উঠে গেলে যে পার্লাারে যাবেন, অনেকের সে পরিস্থিতিটাও নেই। প্রয়োজন এখনই রূপচর্চার। কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলার কিছু নেই, ঘরেই রয়েছে এমন অনেক উপকরণ যেগুলো দিয়েই অনায়সে করতে পারেন প্রতিদিনের রূপচর্চা।

চুলের যত্ন: পার্লাারে গিয়ে মাস অন্তর যারা চুল কাটেন তারা পড়েছেন মুশকিলে। এদিক-সেদিক উঁকি দেওয়া অবাধ্য চুলগুলোকে আপাতত হেয়ার ব্যান্ড দিয়ে পেছনের দিকে ঠেলে রাখুন। সেই অবসরে স্পা ক্রিম দিয়ে ভালো করে স্পা করুন বা ডিম-দই-লেবু লাগিয়ে চুল খানিকটা মোলায়েম ও ঝকঝকে করে তুলুন। তারপর প্রয়োজনমতো সেরাম লাগিয়ে চুলগুলোকে বশে রেখে মাসখানেক নিশ্চিন্তে কাটাতে পারেন।

মুখের বেহাল অবস্থা বলছে আয়না: আয়নার সামনে দাঁড়ালে চোখে পড়ছে মুখের বেহাল দশার। ঠোঁটের উপর গোঁফের হালকা রেখা দিনের পর দিন মহাসমারোহে বেড়েই চলেছে। ঘরবন্দি জীবনে এই অসুবিধা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাবেন না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। নিজে নিজে কিছু করতে গিয়ে ত্বকের বারোটা বাজাবেন না।

ম্যানিকিওর-পেডিকিওর: করোনা সংক্রমণ এড়াতে হাত ধুতে ধুতে হাতের চামড়া খসখসে হলেও ম্যানিকিওর করতে দ্বিধা বা বিরক্ত হবেন না। লকডাউনের অবসরে গরম পানি-সাবান-ব্রাশ দিয়ে হাত-নখ পরিষ্কার করে, নখের কোণার মরা চামড়া তুলে, নখ কেটে নিজেকে টিপটাপ রাখলে তো কোনো অসুবিধা নেই। আর খসখসে হাতে দিনে দুই-একবার ক্রিম মালিশ করতে পারেন, দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে। আর কিট থাকলে পেডিকিওর নিজেই করে নিতে পারেন। না থাকলে গরম পানি-সাবান-ব্রাশ-ঝামা-ক্রিম সব দিয়ে এই লকডাউনে বাড়িয়ে ফেলুন পায়ের সৌন্দর্য।

ফেসিয়ালের চিন্তায় অস্থির হবেন না: লকডাউনে ঘরে থাকায় ত্বক দূষণের শিকার হচ্ছে তুলনামূলক কম। এ সময়ে পার্টি না থাকায় মেকআপ করতে হচ্ছে না বিধায় ত্বকও আছে স্বস্তিতে। তার উপর যদি নিয়মিত সানস্ক্রিন মাখেন ত্বক এমনিই উজ্জ্বল দেখাবে। বর্ষাকালে ভ্যাপসা গরমে সানস্ক্রিন বাইরে না গেলেও মাখা উচিত। রাতে ঘুমানোর আগে যদি কেউ নাইটক্রিম লাগাতে চান, এতে বাধা নেই। ঘরোয়া মাস্ক লাগানোর ইচ্ছে হলে সেটাও করতে পারেন। আর লকডাউন খুললেই দৌড়বেন না পার্লাারে। সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি সব সময় মনে রাখবেন।

খাওয়া-ব্যায়াম-ঘুম: ভুলভাল খেয়ে ওজন বাড়াবেন না। পুষ্টিকর সুষম ডায়েট মেনে চলুন। নিয়মিত ব্যায়াম করবেন। ভালো করে গা ঘামালে ভালো থাকবে ত্বকও। আর রাতজাগা অভ্যাসে অভ্যস্ত না হয়ে, সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাবেন। রুটিন করে নেবেন, কখন ঘুমাবেন আবার কখন ঘুম জেগে থেকে উঠবেন। ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার। ঘুম স্বাস্থ্য ভালো রাখে, বাড়ায় ত্বকের চাকচিক্য। সে জন্য অযথা চিন্তা না করে ভালো করে বিশ্রাম নিন।

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।