লকডাউনেও পোশাক কারখানা খোলা রাখতে চায় বিজিএমইএ

26 June 2021, 5:41:21

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগামী প্রবণতা রোধে সোমবার থেকে সরকারঘোষিত এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনে পোশাক কারখানা খোলা রাখতে চায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। লকডাউন চলাকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় এনে পোশাক কারখানা চালু রাখতে চায় ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি।

বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান জানান, লকডাউনে কারখানাগুলো বন্ধ হলে অর্ডার বাতিল হবে, বায়াররা চলে যাবে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের সুযোগ কমে যাবে। পোশাক খাতসহ দেশের অর্থনীতি পিছিয়ে যাবে। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পোশাক কারখানা খোলা রাখতে চায় পোশাক রপ্তানিকারক ও মালিক সমিতি।

করোনা বেড়ে যাওয়ায় আগামী সোমবার থেকে সারাদেশে সাত দিন কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসময় সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। বিধিনিষেধের বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানাতে আজ শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হবে।

এমন পরিস্থিতিতে পোশাক কারখানা যেন চালু থাকে সে দাবি জানানো হয় বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান জানান, লকডাউনে কারখানাগুলো বন্ধ হলে অর্ডার বাতিল হবে, বায়াররা চলে যাবে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের সুযোগ কমে যাবে। পোশাক খাতসহ দেশের অর্থনীতি পিছিয়ে যাবে। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা পোশাক কারখানা খোলা রাখতে চাই।

এই খাতের কয়েকজন উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, এর আগে সরকারের প্রথম দফায় লকডাউনের কারণে বেশ কিছু শ্রমিক কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন। পরবর্তীতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতারা সিদ্ধান্ত নেন যারা কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালাতে পারবে না তাদের কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে। তখন থেকেই শ্রমিকের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কারখানা চালু রাখা হয় যা আজও অব্যাহত আছে।

উদ্যোক্তারা বলছেন, কারখানা বন্ধ হলে শিপমেন্ট বন্ধ হবে এতে ব্যাংক তাদের টাকা দেবে না। তাছাড়া আসন্ন ঈদে কর্মীদের বেতন-বোনাসসহ আগামী মাসের (জুলাই) ১৫ দিনের বেতন দেয়াও তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। এ অবস্থা বিবেচনায় রপ্তানিমুখী কারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।