- মমতার বক্তব্যকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের হুমকি বললেন ফখরুল
- ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
- চিন্ময়ের পক্ষে দাঁড়াননি কোনো আইনজীবী, জামিন শুনানি ২ জানুয়ারি
- বেনামে শেয়ার কিনে ব্যাংক দখল ঠেকানোর উদ্যোগ, নীতিমালা প্রণয়ন
- শেষ হলো ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা
- চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি আজ
- শেষ হলো ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা
শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি গণমাধ্যমবান্ধব সরকার প্রধান: শ ম রেজাউল
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি গণমাধ্যমবান্ধব সরকার প্রধান। তিনি যতটা গণমাধ্যমবান্ধব ততটা আর কেউ নন। তাঁর সময়ে দেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম বেসরকারি খাতে টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়। তাঁর সময়ে সবচেয়ে বেশি বেসরকারি টেলিভিশন এবং সবচেয়ে বেশি সংবাদপত্র ও অনলাইন পোর্টাল অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাঁর সময়ে তথ্য অধিকার আইন হয়েছে। এ আইন করে তিনি জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করে দিয়ে প্রমাণ করেছেন, কোনো তথ্য নাগরিক চাইলে তাকে দিতে হবে। তার অধিকার আছে, তিনি এ দেশের মালিক। এভাবে শেখ হাসিনা তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করেছেন। অতীতে কেউ বিপর্যস্ত সাংবাদিকদের কল্যাণে এভাবে এগিয়ে আসেন নি, যেভাবে তিনি করোনাকালে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে দশ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। কোনো সাংবাদিকের বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তিনি পাশে দাঁড়ান। কোনো সাংবাদিকের পরিবার অসহায় অবস্থায় পড়লে তিনি পাশে দাঁড়ান।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে নোয়াখালী জেলা সমিতি মিলনায়তনে দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিন পত্রিকার নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, “গণমাধ্যমকে বিকশিত হতে হবে সমাজ, রাষ্ট্র, দেশ ও মানুষের কল্যাণে। বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের বিকাশের পক্ষে। যত বেশি মত, তত বেশি পথ হবে। গণমাধ্যম যত মুক্তিচিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে তত বেশি আমাদের চিন্তার জগৎ উন্মোচিত হবে।”
শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, “রাষ্ট্রের জন্য গণমাধ্যমের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। কারণ গণমাধ্যম ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরিয়ে দেয়। ফলে আমরা যারা সরকারে থাকি, রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকি তারা সঠিক কাজটি করার সুযোগ পাই। গণমাধ্যমে সমালোচনা যেমন থাকবে, পাশাপাাশি সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র সামনে নিয়ে আসতে হবে। তাহলে মানুষ বুঝবে কিছু ভুল থাকলেও সরকার মূলত ভালো কাজ করে।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “সংবাদমাধ্যমে সম্পৃক্ত হওয়া মানে কঠিনকে ভালোবাসা। সাংবাদিকদের জন্য একটা কথা প্রযোজ্য সেটা হলো, ‘কঠিনেরে ভালোবাসিলাম’।
দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক, দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিনের সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফিরোজ আলম রিগান, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি জাফর সেলিম প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: