For Advertisement
ফাইজারের টিকা আসার সিদ্ধান্ত ফের পরিবর্তন
ফাইজারের টিকা আসা নিয়ে আবারো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, আজ রোববার (৩০ মে) রাতে নয়, আগামীকাল সোমবার (৩১ মে) রাতে বাংলাদেশে আসছে ফাইজারের এক লাখ ৬ হাজার ২০০ ডোজ টিকা।
সোমবার (৩০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত ঠিকাদান কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এখনই দেশে আসছে না ফাইজারের টিকা। আগামী মাসের ২য় সপ্তাহে আসতে পারে। তবে এক কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ওই সময় ‘তথ্য বিভ্রাট’ হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আজ রাতেই ফাইজারের টিকা দেশে আসছে। এরপর ফের বিকালে এ সিদ্ধান্ত পাল্টিয়ে সবশেষ অধিদপ্তর জানাল, রোববার রাতে নয়, সোমবার রাতে দেশে আসছে ফাইজারের টিকা।
সব দেশের জন্য কোভিড টিকা নিশ্চিতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক উদ্যোগে কোভ্যাক্স থেকে আসা এটিই হবে প্রথম চালান। তবে এ টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, কিছুটা জটিলতা থাকলেও প্রয়োজনীয় সক্ষমতা আছে বাংলাদেশের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, এই টিকা ঢাকায় আসার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিয়ে ইপিআইয়ের তত্ত্বাধয়ানে টিকা নিয়ে যাওয়া হবে মহাখালী সংরক্ষণাগারে। সেখানে আল্টা-লো ফ্রিজারে রাখা হবে মাইনাস ৬০ থেকে মাইনাস ৮০ ডিগ্রিতে।
তবে কেন্দ্রে নেওয়ার আগে আইএলআর রেফ্রিজারেটরে ৮ ঘণ্টা রেখে উপযোগী করা হবে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখার। আর এ অবস্থায় টিকা রাখা যাবে সর্বোচ্চ ১২০ ঘণ্টা বা ৫ দিন।
কেন্দ্রে নেওয়ার পর ডাইলুয়েন্ট মিশিয়ে ৬ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে মানবদেহে। সংরক্ষণ ও প্রয়োগ পদ্ধতিতে আগের ভ্যাকসিনগুলোর তুলনায় কিছু ভিন্নতা থাকায় ফাইজারের টিকার অপচয় রোধ করার দিকে নজর রাখার অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত ঠিকাদান কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বলেন, এখানে অবশ্যই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর ছয়জন মানুষকে প্রস্তুত করে আমাদের ভ্যাকসিন কাজটা শুরু করতে হবে। তবে আমরা এক একটা ভায়েলকে ব্যবহার করতে পারব।
আপাতত রাজধানীতেই ফাইজারের টিকা প্রয়োগের কথা ভাবা হচ্ছে। তবে এখনো নির্বাচন হয়নি কেন্দ্র। সবার দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করতে ৫০ হাজার মানুষকে দেওয়া হবে এ টিকা। তবে মৃত্যুহার কমাতে প্রাথমিক গবেষণায় ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতা প্রমাণিত এ টিকা পঞ্চাশোর্ধ্ব নাগরিকদের দেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন, এ ৫০ হাজার টিকা যদি পঞ্চান্নোর্ধ্ব হয় তাহলে সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয় তাদের দেওয়ার সুয়োগ আছে দরকার আছে। এটা আমরা বেস্ট ইউজ করলাম।
ফাইজারের টিকার সংরক্ষণ পদ্ধতির জটিল হওয়ায় টিকা কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
Latest
For Advertisement
- প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
-
- গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
-
- হাসিনা রহমান শিপন,
- রাশিকুর রহমান রিফাত
Developed by WebsXplore