নথিগুলো প্রকাশ পেলে দেশের ক্ষতি হয়ে যেত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম যেসব নথি কবজায় নিয়েছিলেন সেগুলো প্রকাশ পেলে দেশের ক্ষতি হয়ে যেত বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি টিকা আমদানিসংক্রান্ত কিছু নথি সরিয়েছিলেন। আজ মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালিক বলেন, সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে যেটুকু তিনি শুনেছেন, তাতে স্বাস্থ্যসচিবের পিএসের অনুপস্থিতিতে সোমবার দুপুরে তার কক্ষে ঢুকেছিলেন রোজিনা। ওখানে যে ডিউটিতে ছিল, সে দেখল যে একজন ব্যক্তি ওখানে ফাইলের ছবি তুলতেছে, ফাইল কিছু বের করে ব্যাগে ঢুকিয়েছে, শরীরেও ঢুকিয়েছে। তখন সে চিল্লাচিল্লি করেছে, আমাদের মহিলা অফিসাররা এসেছে, এসে তারা ধরছে যে ‘আপনি কেন এইসব করছেন?’ তখন তার কাছ থেকে ওই কাগজ আর ফাইলগুলো নিছে। এর মধ্যে পুলিশে খবর দিছে, পুলিশ কর্মকর্তারা আসছে, তারা এটা টেকওভার করছে। প্লাস মোবাইলটাও নিছে, মোবাইলেও অনেক ছবি পাইছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই জিনিসটাও দুঃখজনক। কেননা এই ফাইলগুলো ছিল টিকা সংক্রান্ত। আমরা যে রাশিয়ার সঙ্গে টিকার চুক্তি করছি, চায়নার সঙ্গে টিকার চুক্তি করছি। সেগুলো নন-ডিসক্লোজার আইটেম। আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে বলেছি, আমরা এটা গোপনে রাখব, এগুলো বলব না। তো সেইগুলো যদি বাইরে চলে যায়, তাহলে রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলাম, এবং আমরা টিকা না-ও পেতে পারি। এতে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য বিরাট ক্ষতি হতে পারে। এগুলো সিক্রেট ডকুমেন্ট, বাইরে যাওয়া ঠিক হয় নাই।
তিনি বলেন, দুর্নীতির রিপোর্টিংয়ের জন্য তো আজকের ঘটনা না। ওটা ওখানের ঘটনার, এর ওপরই পরবর্তী ঘটনা ঘটতেছে। সিনিয়র অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি ও ডেপুটি সেক্রেটারি লেভেলের দুজন ছিল, প্রাথমিকভাবে তারাই ডিল করছে। পরে যখন রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার বিষয় আসছে, তখন তারা পুলিশ ডেকেছে।রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রেখে ‘শারীরিকভাবে হেনস্তা’ করা হয়েছে বলে তার স্বামী যে অভিযোগ করেছেন, সেটি অস্বীকার করেন জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, যেটা শুনলাম, তাকে অনেকক্ষণ আটকিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি নিজেই শুয়ে পড়ছেন, বসে পড়ছেন। তাকে পুলিশ নিতে পারছিলেন না। শারীরিকভাবে কোনো নির্যাতন বা আঘাত করা হয়নি। এটি সঠিক নয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিক রোজিনাকে ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছে এটা ভুল। ঘটনার সময় সেখানে বিভিন্ন পদস্থ পাঁচ-ছয়জন উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর সেখানে পুলিশ এসেছে। ঘটনার আধাঘণ্টার মধ্যে পুলিশ এসেছে। আমার আগে এ খবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেনেছেন। বরং রোজিনা সেখানে কাউকে সাহায্য করছিল না। তাকে জোর করে কেউ রুমে নিয়ে যায়নি।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: