Sunday 19 May, 2024

For Advertisement

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার

24 April, 2024 10:40:40

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। তাই জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান ন্যাপ এক্সপোর একটি সেশনে এসব কথা বলেন তিনি।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেয়া এবং সব নাগরিকের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

এ সময় সাবের চৌধুরী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় পদক্ষেপ, সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা এবং উদ্ভাবনী সমাধানের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলার উপায়, অভিযোজন ও প্রশমনে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘ কাজ করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, অ্যাডভোকেসি, বন্যা মোকাবিলা, কমিউনিটি এডাপটেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘ বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। আমরা দেখেছি ১০০টি উন্নয়নশীল দেশ যাদের জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে কোনো পরিকল্পনাই নেই। অথচ বাংলাদেশ এইদিক থেকে এগিয়ে আছে। আমরা আমাদের অভিযোজন পরিকল্পনা করেছি। যা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে পারছি।

মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় একদিকে যেমন প্রয়োজন দ্রুত পদক্ষেপ, তেমনি অভিযোজনের জন্য দরকার অর্থায়ন। যে পরিমাণ অর্থায়ন আমরা এতদিন পেয়ে আসছি, তা চাহিদার তুলনায় কিছুই না। এই আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে এই বার্তাটিও আমরা স্পষ্ট করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি তো দেয়নি, এমনকি অভিযোজন তহবিলে ভারসাম্যও আনেনি। আমরা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (ইউএনএফসিসিসি) কাছে আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করি, যেন এই সংস্থার প্রতি বৈশ্বিক বিশ্বাস ও গ্রহণযোগ্যতা আবারও ফিরে আসে।

সেশনে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। এতে সিইজিআইএস এর নির্বাহী পরিচালক কমালিক ফিদা এ খান, অতিরিক্ত সচিব এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফাইন্যান্স সেলের চেয়ার এ কে এম সোহেল এবং জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. এম. আসাদুজ্জামান প্যানেলিস্ট হিসেবে বাংলাদেশে ন্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং শিক্ষা নিয়ে বক্তব্য দেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২৩-২০৫০ উপস্থাপন করেন।

Latest

For Advertisement

সম্পাদক ও প্রকাশক:- এ এফ এম রিজাউর রহমান (রুমেল), এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  
  • প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সহযোগী-সম্পাদক:
    • গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
সহ -সম্পাদক:
    • হাসিনা রহমান শিপন,
নিউজ রুম ইনচার্জ :
    রাশিকুর রহমান রিফাত
© সকল স্বত্ব প্রতিচ্ছবি ডটকম ২০১৫ - ২০২২ অফিস: ৭২/২ উত্তর মুগদাপাড়া, ঢাকা ই-মেইল: dailyprotichhobi@gmail.com | মোবাইল: ০১৮১৮০৯৩১৩৭ ফোন:+৮৮০২৭২৭৭১৪৭

Developed by WebsXplore