- চিন্ময়ের পক্ষে দাঁড়াননি কোনো আইনজীবী, জামিন শুনানি ২ জানুয়ারি
- চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি আজ
- বেনামে শেয়ার কিনে ব্যাংক দখল ঠেকানোর উদ্যোগ, নীতিমালা প্রণয়ন
- মমতার বক্তব্যকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের হুমকি বললেন ফখরুল
- ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
- শেষ হলো ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা
- শেষ হলো ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা
অনেকে মনে করেন সন্তানরা ইংরেজিতে কথা বললে মানুষ স্মার্ট ভাববে: প্রধানমন্ত্রী
সন্তানদের বিদেশি ভাষা শেখাতে গিয়ে মাতৃভাষা বাংলা যেন হারিয়ে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, কিছু শিশুদের বাবা-মা ভাবে তাদের সন্তানরা ইংরেজি ভাষায় কথা বললে মানুষ তাদের স্মার্ট ভাবে। কেউ কেউ তো পারলে বাংলা ভাষা বাদ দিয়ে দেয়। কিন্তু কেন? বিদেশে কিন্তু শিশুদের একাধিক ভাষা শিক্ষা দেওয়া হয়।
বুধবার বিকালে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
এরআগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মুজিব শতবর্ষ জাদুঘর ও আর্কাইভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এসময় আরও উপস্তিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মহাপরিচালক প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের ভাষা শিক্ষা দিতে হবে। বাংলা ভাষার পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষাও শিক্ষা দিতে হবে। কারণ নিজের ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি অন্যভাষাও শেখ যায়। অনেকে নিজের ভাষাকে বাদ দিয়ে ইংরেজি ভাষার প্রতি জোর দেয়। কিছু শিশুদের বাবা-মা ভাবে তাদের সন্তানরা ইংরেজি ভাষায় কথা বললে মানুষ তাদের স্মার্ট ভাবে। কেউ কেউ তো পারলে বাংলা ভাষা বাদ দিয়ে দেয়। কিন্তু কেন বিদেশে কিন্তু শিশুদের একাধিক ভাষা শিক্ষা দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের ভাষা নিয়ে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট করা হয়েছে। ভাষা নিয়ে গবেষণা করতে হবে। বাংলাভাষা আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমিকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মাতৃভাষা প্রতিটা জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দুঃখ হলো, দেশের ইতিহাসকে বিকৃতি করে কেউ কেউ মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কেউ ইতিহাসকে মুছে ফেলতে পারেনি। জাতি ঠিকই সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এখন ইউনেস্কোর দ্বিতীয় ধাপে আছে।
সরকারপ্রধান বলেন, প্রযুক্তি যত আসবে তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে যাতে করে পিছিয়ে না যায়। অনেকে ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে অনুবাদ করে এমন উদ্ভট উদ্ভট কথা লিখে, পরে আর অর্থই খুঁজে পাওয়া যায় না। এই বিষয়গুলোর প্রতি নজর দেওয়া দরকার। নজর দেওয়ার দরকার এই কারণে কিছু কিছু অনুবাদ করতে গিয়ে ভাষাকে বিকৃতি করে ফেলে। এসব আবার বাজারে নিয়ে আসা হয়। এজন্য নজর দিতে হবে। আমাদের মাতৃভাষাকে আর গুরুত্ব দেওয়া, আরও গবেষণা করে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, মাতৃভাষার আন্দোলন শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার আইন বিভাগের ছাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উদ্যোগ নেন, তিনি ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। জাতির পিতার উদ্যোগের ফলে এবং তার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা আমাদের স্বাধিকার পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র বাংলাদেশ হচ্ছে একটি ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র। আরও কয়েকটি প্রগতিশীল সংগঠনকে নিয়ে ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাঙালি জাতি নিজের মাতৃভাষাকে মর্যাদা দেওয়ার জন্য মহান আত্মত্যাগ করেছে। মাতৃভাষা রক্ষায় যারা আত্মত্যাগ করেছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বাঙালি জাতি রক্ত দিয়ে ভাষার মর্যাদা দিয়ে গেছে।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: