For Advertisement
‘১০ দিনের মধ্যে মহানগর হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা শুরু’
আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে রাজধানীর মহানগর জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাসপাতালের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এ হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সমৃদ্ধ ৫টি নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের শয্যা, ৩০টি উচ্চ-অক্সিজেন-প্রবাহ (হাই-ফ্লো অক্সিজেন) সমৃদ্ধ শয্যা এবং ৭৫টি আইসোলেশন শয্যা নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে বলে জানান মেয়র।
এসময় মেয়র জানান, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অনুষঙ্গগুলো পেতে বিলম্ব হওয়ায় এখনো এই হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।
তাপস বলেন, ‘করোনার প্রথম ধাক্কায় যে চিকিৎসক দেয়া হয় তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছিল। তাছাড়া পাঁচটি নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জন্য শয্যা প্রদান বিলম্ব করা হয়েছিল এবং আনুষঙ্গিক যে সুযোগ-সুবিধাগুলো প্রয়োজন সেগুলো আমরা সময় মতো পাইনি। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় আমাদেরকে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আনুষঙ্গিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি যে আর এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এখানে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যাবে।‘
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দক্ষিণের নগর কর্তা বলেন, ‘ঢাকাবাসী চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম স্বচক্ষে অবলোকনই আজকের এই পরিদর্শন। আমরা চাই ঢাকাবাসী যেন এই সময়ে তাদের চিকিৎসাসেবা পেতে পারে। সেজন্য আনুষঙ্গিক ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম আমরা সমাপ্ত করেছি৷’
চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক-নার্সসহ কিছু লোকবল পদায়ন করা হয়েছে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, ‘এখন আমাদের কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থাপনা বা প্লান্ট প্রয়োজন হবে। নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ এনেসথেসিস্টও লাগবে। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে কথা বলছি। আশা করছি খুব দ্রুতই প্রয়োজনীয় সকল অনুষঙ্গ সরবরাহ করা হবে এবং দ্রুতই আমরা চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম যেতে পারব।‘
এদিকে হাসপাতালটির পরিচালক ডা. প্রকাশ রায় বলেন, ‘আমরা ৫৬ জন চিকিৎসক (মেডিকেল অফিসার) চেয়েছি। ইতোমধ্যে ১৮ জনকে পদায়ন করা হয়েছে এবং ১৬ জন চিকিৎসক যোগদান করেছেন। একইসাথে আমরা ৬০ জন নার্স চেয়েছি। ইতোমধ্যে ৩০ জনকে প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে ২২ জন যোগদান করেছেন। আর আগামী রবিবারের মধ্যে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা বা প্লান্ট স্থাপন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে আজ জানানো হয়েছে। আশা করছি, আমরা দ্রুতই নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও মেডিকেল স্পেশালিস্টও পেয়ে যাবো এবং মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এখানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যাবে।‘
এসময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Latest
For Advertisement
- প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
-
- গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
-
- হাসিনা রহমান শিপন,
- রাশিকুর রহমান রিফাত
Developed by WebsXplore