শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করলেন মোদি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। বাংলাদেশের এই উন্নতিতে পাশে থাকতে পেরে আমরা খুশি। এই পাইপলাইন (ডিজেলের) বাংলাদেশের উন্নতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
শনিবার (১৮ মার্চ) ‘ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে এ প্রশংসা করেন মোদি।
মোদি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে কানেকটিভিটি যত বাড়বে তত দুই দেশের লোকজনের মধ্যে সম্পর্ক জোরালো হবে।
তিনি বলেন, কোভিড মহামারির পরও এই প্রজেক্টের কাজ চালিয়ে যাওয়ায় আমরা খুশি। এই পাইপলাইনের কল্যাণে খরচ কমার পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণও কম হবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় লোকজনের উপকার হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রথম আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি তেলের পাইপলাইন নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৭৭ কোটি রুপি। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ব্যয় প্রায় ২৮৫ কোটি রুপি। ভারত সরকার এ অর্থ বহন করেছে। ভারতের অভ্যন্তরে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পাইপলাইনটি বিস্তৃত। সেখানে খরচ হয়েছে বাকি অর্থ।
বার্ষিক ১ মিলিয়ন টন হাই-স্পিড ডিজেল (এইচএসডি) পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে এ পাইপলাইনের। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সাত জেলায় প্রাথমিকভাবে উচ্চগতির ডিজেল সরবরাহ করবে এটি।
এ পাইপলাইনে ভারত থেকে বাংলাদেশে হাই-স্পিড ডিজেল পরিবহন টেকসই, নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী ও পরিবেশ-বান্ধব করবে। এতে দুই দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় সহযোগিতা আরো বাড়বে।
পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপো পর্যন্ত বিস্তৃত পাইপলাইনে ডিজেল আসবে। ২০১৭ সালে এ চুক্তি সই হয়।
২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। ২০২০ সালের মার্চে যা শুরু হয়।
ভারতের লুমানিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) এবং বাংলাদেশের মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: