- বিসিবির সঙ্গে চুক্তি শেষ হতেই প্রকাশ্যে জুয়ার প্রচারে সাকি
- সেনাপ্রধানের সঙ্গে সেদিন হাসনাত-সারজিসের যে কথা হয়েছিল
- চুয়াডাঙ্গায় নামাজরত বাবাকে হত্যা করলো ছেলে
- যুক্তরাষ্ট্রে পার্কে বন্দুক হামলা, নিহত ৩
- ৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি
- স্বাস্থ্যের সেই গাড়িচালক মালেকের ১৩ বছরের কারাদণ্ড
- সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ

আজ প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার যাচ্ছেন

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ কক্সবাজার আসছেন। পাঁচ বছর সাত মাস পর সমুদ্রসৈকতের শহরে আসছেন তিনি।
এজন্য জেলা আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সুদৃশ্য তোরণ, ব্যানার এবং পোস্টারে ছেয়ে গেছে কক্সবাজার শহর।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্প থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামার পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার সফর করছেন।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৬ মে কক্সবাজারে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জেলাকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসাবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এর ঠিক সাড়ে ৩ মাস পর আগস্টের শেষ দিকে কক্সবাজারে ঢল নামে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের। ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের বিপুল উন্নয়নের পরও জেলার মানুষের স্বস্তি নেই। বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি। স্থানীয়দের আশঙ্কা, নিজগৃহে আবার পরবাসী না হয়ে যান তারা। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের অশান্ত পরিস্থিতি নতুন করে আতঙ্কিত করে তুলেছে তাদের; যার স্থায়ী সমাধান চান এই জেলার মানুষ। মঙ্গলবার জেলা শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন। এর আগে তিনি উখিয়ার ইনানীতে সাগর পাড়ে আন্তর্জাতিক নৌ-মহড়া উদ্বোধন করবেন। বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কর্মসূচিও রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসূচিতে। তবে প্রধান কর্মসূচি হচ্ছে, জেলা আওয়ামী লীগের জনসভা। আজ বিকালের জনসভায় স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম হবে বলে আশা করছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। এতে তিন থেকে পাঁচ লাখ মানুষ উপস্থিত করার লক্ষ্য রয়েছে তাদের।
সোমবার কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ জনসভার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৬ মে সর্বশেষ কক্সবাজারে এসে এই জেলাকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসাবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই ঘোষণার আলোকে কক্সবাজারে চলছে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ৪০টি মেগা প্রকল্পসহ ৭৭ উন্নয়ন প্রকল্প। যার সুফল পাচ্ছেন কক্সবাজারসহ দেশবাসী। এরমধ্যে এবার নতুন করে কক্সবাজারবাসীর পক্ষে আরও ১১টি দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করা হবে বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাটি কক্সবাজারবাসী কতৃজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে নিয়েছে। এখানে ৫ লাখ লোকের সমাবেশ হবে। শুধু স্টেডিয়াম নয় পুরো কক্সবাজার শহর জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এর জন্য সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দুই প্রোগ্রামকে ঘিরে সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ সদস্য সক্রিয় থাকবেন। তাদের দিয়ে চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলা হয়েছে। কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার যুগান্তরকে বলেন, র্যাবের হেডকোয়ার্টার থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ও ডগ স্কোয়াড টিম কক্সবাজার এসেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে ইনানীর ভেন্যু ও আজ সকাল ১০টার মধ্যে শহীদ শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সমাবেশস্থল পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা হবে। নিরাপত্তার বিষয়ে রোহিঙ্গাদের ওপর আলাদা নজর রাখা হয়েছে। এপিবিএন, জেলা পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় চলাচল দূরের কথা রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বাইরে পা ফেলতে পারবে না।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: