For Advertisement
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় জন কেরির মুখে বাংলাদেশের প্রশংসা
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশে যে উদারতা দেখিয়েছে তার প্রশংসা করেছেন ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক দূত জন কেরি। তিনি বলেন, ‘এখানে বাংলাদেশের একার দায় নয়। বরং জাতিসংঘসহ সকল দেশকে এই দায় নিতে হবে।’
আজ শুক্রবার (৯ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট ও বর্তমানে মিয়ানমারে যা চলছে সেটি মোকাবিলা করা নৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এ সংকট কীভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে বাইডেন প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে ঢাকায় জন কেরি
বিমানবন্দরে জন কেরিকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি: ইত্তেফাক
এ সময় রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে মার্কিন এই কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশ হলো গ্রেটেস্ট হেলপিং হ্যান্ড। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মধ্যে এক উজ্জ্বল মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের দিল্লি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
জন কেরিকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এসময় সঙ্গে ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত ভার্চুয়াল ক্লাইমেট সামিটে যোগদানের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করতেই তার এই সফর।
এছাড়া জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে একটি গোলটেবিলেও অংশ নেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিশেষ দূত। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার তার সরকারি বাসভবনে এই আলোচনার আয়োজন করেন। জলবায়ু সংকট রোধে প্রশমন ও অভিযোজনকে সহায়তা দিতে এবং সমৃদ্ধিকে সমর্থন জোগাতে যে বিনিয়োগ দরকার, তা সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার আন্তর্জাতিক উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র কতটা গুরুত্ব দেয়, সেক্রেটারির এই সফর সেটি তুলে ধরেছে।”
আগামী ২২ ও ২৩ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী এই জলবায়ু সংকট বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের ৪০ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
Latest
For Advertisement
- প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
-
- গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
-
- হাসিনা রহমান শিপন,
- রাশিকুর রহমান রিফাত
Developed by WebsXplore