- সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর: ড. ইউনূস
- আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ২৫ হাজার কোটি টাকা
- সাবের হোসেন চৌধুরীর ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
- হিজবুল্লাহর রকেটের আঘাতে কাঁপল ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর
- শীত কবে আসবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- পালিয়ে দিল্লি গেলেন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা মনিরুল
- শেরপুরে বন্যায় ৮ জনের প্রাণহানি
দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের সুপারিশ
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চায় কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটি। দুই সপ্তাহের লকডাউন শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণ পরিস্থিতি ও আক্রান্তের হার বিবেচনায় আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।
আজ শুক্রবার (৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পরামর্শক কমিটি। গত বুধবার রাতে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৩০তম সভায় এমন কথা উঠে আসে। কমিটির সুপারিশ বলা হয়েছে, অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন ছাড়া করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভা এলাকায় দুই সপ্তাহ পূর্ণ লকডাউন রাখতে হবে। দুই সপ্তাহ পর সংক্রমণ হার বিবেচনা করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত ১৮টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও করোনা নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। এগুলো সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না, সংক্রমণের হার বাড়ছে। বিধিনিষেধ আরও শক্তভাবে অনুসরণ করা দরকার।
এর আগে ৩ এপ্রিল সারা দেশে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণার কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওইদিন ওবায়দুল কাদেরের পাশাপাশি লকডাউন দেয়ার কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘দ্রুত বেড়ে যাওয়া করোনার সংক্রমণ রোধ করার স্বার্থে সরকার দু-তিন দিনের মধ্যেই সারা দেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে এক সপ্তাহের জন্য।
৪ এপ্রিল লকডাউন নিয়ে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গণপরিবহন বন্ধ রেখে শিল্প, কল-কারখানা খোলা সরকারি সিদ্ধান্তে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। অফিসমুখী মানুষ গাড়ি না পেয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করে। এমন বাস্তবতায় লকডাউনের তৃতীয় দিন অর্থাৎ ৭ এপ্রিল থেকে খুলে দেয়া হয় গণপরিবহন। তাতে জনভোগান্তি কমেছে। কিন্তু কমেনি সংক্রমণের ভয়াবহতা। সড়কে বাস নামতেই ঢাকা ফিরেছে চিরচেনা রূপে। বুধবার বেলা যত বেড়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজধানীর সড়কে বেড়েছে মানুষের সংখ্যা। বিধিনিষেধের কোনো তোয়াক্কা ছিল না কারও মধ্যে।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) এক প্রজ্ঞাপনে, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শপিং মল দোকানপাট খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: