ইন্টারনেট
ADS

মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল

31 March 2021, 9:58:43

ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল।
এ উপলক্ষে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি অনুসারে স্বল্পপরিসরে কবর জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। তাঁর ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বাবার আত্মার শান্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ হানিফ ১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল পুরান ঢাকার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন। তাঁর বাবা আবদুল আজিজ ও মা মুন্নী বেগম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অবিচল ছিলেন হানিফ।
শুরু থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের প্রতি অবিচল। তিনি ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পান। এসময় ছয়দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী কালে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে প্রথম কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মোহাম্মদ হানিফ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মোহাম্মদ হানিফকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন ও ভালোবাসতেন। তাই ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু তাঁর ঢাকা-১২ আসন ছেড়ে দেন এবং মোহাম্মদ হানিফ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদে হুইপেরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ’৭৬ সালে মোহাম্মদ হানিফ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
১৯৯৪ সালে লক্ষাধিক ভোটের ব্যাবধানে ঢাকার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। তারই নেতৃত্বে ’৯৬-এর মার্চের শেষ সপ্তাহে ”জনতার মঞ্চ” গঠন করেন যা ছিল আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য একটি টানির্ং পয়েন্ট। ’৯৬-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গনজোয়ার সৃষ্ঠি করে আওয়ামী লীগের বিজয়ে ব্যাপক ভুমিকা রাখেন মোহাম্মদ হানিফ।
২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ঠ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে শেখ হাসিনার ওপর নারকীয় গ্রেনেড হামলার সময় নিজের জীবন তুচ্ছ করে মানবঢাল রচনা করে তার প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেন মোহাম্মদ হানিফ। একের পর এক ছোড়া গ্রেনেডে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রাণে রক্ষা পেলেও মারাত্বক আহত হন তিনি। তার মস্তিক সহ দেহের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য স্পিøন্টার ঢুকে পড়ে। দুঃসহ যন্ত্রনা সহ্য করেই মোহাম্মদ হানিফ জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেছেন। ২০০৬ এর ৮ ফেব্রুয়ারী মুক্তাঙ্গণে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ব্যাংককে তীব্র যন্ত্রনা ভোগ করে র্দীঘদিন চিকিৎসা শেষে ঢাকায় ফিরে ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে ৬২ বছর বয়সে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
মোহাম্মদ হানিফের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি অনুসারে স্বল্পপরিসরে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন সহ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, মেয়র হানিফ স্মৃতি সংসদও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কবর জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, দুস্থঃদের মাঝে খাবার বিতরন ইত্যাদি।—– বাসস

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: