For Advertisement
৫১ দিন পর মৃত্যু আশির ওপরে, শনাক্ত ৩৬৪১
গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে করোনাভাইরাসে দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্ত বাড়ছে। এ ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৮২ জন, যা ৫২ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে সবশেষ গত ২৯ এপ্রিল এর চেয়ে বেশি মৃত্যু হয়। সেদিন ৮৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। এরপর মৃত্যুর সংখ্যা এতো বাড়েনি।
এদিকে গত একদিনে মৃত্যু বাড়ার পাশাপাশি করোনা শনাক্তের সংখ্যাও আগেরদিনের চেয়ে বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে গত একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৪১ জন। গতকাল ছিল ৩ হাজার ৫৭ জন।
রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ২৩১টি নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৬৪১ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬.৩৮ শতাংশ। গতকাল ছিল ১৮.০২। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার বেড়ে ১৩.৪৬ শতাংশ হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৫ জন ও নারী ২৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২১ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৩৮ জন রয়েছেন। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ১৩ হাজার ৪৬৬ জন।
এদিকে গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫০৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৮২ হাজার ৬৫৫ জন।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা হয়।
এরমধ্যে গত ১৬ এপ্রিল দেশে দৈনিক মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ।
বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।
Latest
For Advertisement
- প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
-
- গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
-
- হাসিনা রহমান শিপন,
- রাশিকুর রহমান রিফাত
Developed by WebsXplore