Tuesday 23 April, 2024

For Advertisement

দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত, মৃত্যু ১৮

14 March, 2021 8:12:58

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মারা গেছেন আরও ১৮ জন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশে একদিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে এত মানুষ মারা যায়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, ওই দিন ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল করোনায়। এরপর সংখ্যাটা ১৮-র নিচে নেমে আসে। ১৯ দিন পর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হলো।

একই সময়ে আরও এক হাজার ১৫৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়, যা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। দৈনিক শনাক্তের হারটাও বেড়ে ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনিক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য উঠে এসেছে।

টানা পাঁচ দিন দেশে এক হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত শনিবার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৪ জনের দেহে। গত শুক্রবার করোনা শনাক্ত হয় ১ হাজার ৬৬ জনের দেহে।

এর আগে বৃহস্পতিবার শনাক্ত ছিল ১ হাজার ৫১ জন। তারও আগে বুধবার ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ১ হাজার ১৮ জনের দেহে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫১টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৭টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৭২টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ, সর্বমোট ২১৯টি ল্যাবে মোট ১৬ হাজার ২০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে আরও এক হাজার ১৫৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯৫ জনে পৌঁছায়।

এই ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয় আরও ১৮ জনে। তাতে মোট মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৫৪৫ জনে পৌঁছায়।

২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে ১২ পুরুষ ও ৬ নারী। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে দশোর্ধ্ব এক, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচ ও ষাটোর্ধ্ব ১২ জন।

বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকায় ১০, চট্টগ্রামে ৫, রাজশাহীতে ২, বরিশালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত যে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে ৫ লাখ ১১ হাজার ৬৯৫ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

গত ১৯ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসার পর এক পর্যায়ে তা ৩ শতাংশের নিচেও নেমেছিল। তবে মার্চের শুরু থেকে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শনাক্তের হারও বাড়তে থাকে। ৯ মার্চ তা আবার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। আর গত তিন দুদিন ধরে দৈনিক শনাক্তের হার রয়েছে ৬ শতাংশের বেশি। আজ সেই হার ৭ পেরিয়ে গেছে।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ।

দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী।

করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।

For Advertisement

সম্পাদক ও প্রকাশক:- এ এফ এম রিজাউর রহমান (রুমেল), এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  
  • প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সহযোগী-সম্পাদক:
    • গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
সহ -সম্পাদক:
    • হাসিনা রহমান শিপন,
নিউজ রুম ইনচার্জ :
    রাশিকুর রহমান রিফাত
© সকল স্বত্ব প্রতিচ্ছবি ডটকম ২০১৫ - ২০২২ অফিস: ৭২/২ উত্তর মুগদাপাড়া, ঢাকা ই-মেইল: dailyprotichhobi@gmail.com | মোবাইল: ০১৮১৮০৯৩১৩৭ ফোন:+৮৮০২৭২৭৭১৪৭

Developed by WebsXplore