- দেশে ফিরলেন না সাকিব, চলে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রে
- জাতিসংঘের মহাসচিবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইসরায়েলের
- ইমিগ্রেশনে পার হননি, অবৈধ পথে ভারতে পালিয়েছেন আসাদুজ্জামান
- ইউনূস-মোদি বৈঠক হতে পারে নভেম্বরে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে কাল
- তৃতীয় দফায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শনিবার
- ফের বাড়ল এলপিজির দাম
- শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা: খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
অতিরিক্ত হলুদ খাওয়ার যত অপকারিতা
রোগের সঙ্গে লড়াই করতে গেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হওয়া দরকার। বিশেষ করোনাকালে গৃহবন্দি অবস্থায় সবাই খাওয়া-দাওয়ার উপর বেশি নজর দিচ্ছেন। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে প্রাচীন টোটকা যেমন হলুদ, গোলমরিচ, আদা এসবও খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আমাদের রান্নায় হলুদ ব্যবহার করা হয়। আর হলুদের যে কত গুণ তা সকলেই জানেন। সেই সঙ্গে হলুদ রোগজীবাণু প্রতিরোধ করে। সংক্রমণ ঠেকায়। আর হলুদের মধ্যে থাকা কিউকারমিন ক্যানসারও প্রতিরোধ করে। চায়ের সঙ্গে কাঁচা হলুদ কিংবা কাঁচা হলুদ দিয়ে চা, দুধ এখন অনেকেই খাচ্ছেন। টানা এক বছর ধরে এই হলুদ খেয়ে আসছেন অনেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে অতিরিক্ত হলুদ খাওয়া কিন্তু ঠিক নয়। কারণ অতিরিক্ত হলুদ মোটেই শরীরের জন্য ভালো নয়। এর নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।
শরীর থেকে আয়রণ শোষণ করে নেয় অতিরিক্ত হলুদ। তখন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। ফলে আয়রনের ঘাটতি তৈরি হয় শরীরে। হলুদের মধ্যে থাকা কিউকারমিন ভেঙে ফেরিক কিউকারমিন তৈরি হয়। যার জন্যেই অতিরিক্ত আয়রন শরীর থেকে শুষে নেয়।
এই যৌগটি দেহে আয়রন ভারসাম্যের জন্য দায়ী পেপটাইডস, হেপসিডিন সংশ্লেষণকেও বাধা দিতে পারে। এই সমস্ত কারণগুলো একসাথে আয়রনের ঘাটতি বাড়ে। শুধুমাত্র শরীরে আয়রনের ঘাটতি হতে পারে এমন নয় সেই সঙ্গে হজমেরও কিন্তু সমস্যা হতে পারে। খুব বেশি হলুদ খেলে ত্বকের সমস্যা, মাথা ধরা এসব লেগেই থাকে। এছাড়াও লিভার বড় হয়ে যাওয়া, আলসার, প্রদাহ এসবও হতে পারে।
হলুদের মধ্যে যে কিউকারমিন থাকে তা কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো। স্বাস্থ্যের দিক থেকেও উপকারী। কিন্তু বেশি হলুদ খেলে কিংবা হলুদের সাপ্লিমেন্ট খেলে শুধুই যে অ্যানিমিয়া হবে তা নয়। এর সঙ্গে রক্তপাতে সমস্যা, কিডনি স্টোন, ডায়াবেটিস এসবও কিন্তু আসতে পারে।
হলুদ খাবেন দিনে কতবার। সব কিছু একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া দরকার। যদি প্রতিদিন ২০০০-২৫০০ মিলিগ্রাম হলুদ খেতে পারেন তাহলে মাত্র ৬০-১০০ মিলিগ্রাম কিউকারমিন আপনার শরীরে যাবে। তবে এর সঙ্গে আর হলুদের কোনও সাপ্লিমেন্ট খাওয়া ঠিক নয়। সবথেকে ভালো খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিন।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: