- মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৯.৯৪ শতাংশ, এক দশকে সর্বোচ্চ
- ইউক্রেনে রাতভর আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া
- ২ সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
- তীব্র গরম, মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা থাকলেও মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
- সামনের সব নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক হবে: শেখ পরশ
- বাজেট ডিব্রিফিং সেশন এমপিদের গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিচ্ছে: স্পিকার
- মধ্যরাতে দুঃখ প্রকাশ করলেন পরীমনি
- সিলেটে বিএনপির ৪৩ নেতা আজীবন বহিষ্কার
- সাকিবের না থাকা আমাদের জন্য চিন্তার কারণ: নান্নু

শেখ হাসিনার বহরে হামলা: ১৮ আসামির জামিন বিষয়ে আদেশ আজ

সাতক্ষীরায় ২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১৮ জনের জামিন আবেদনের শুনানি হাইকোর্টে শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য মঙ্গলবার (২৫ মে) দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৪ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চে তাদের জামিন আবেদনের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য আগামীকাল (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেন।
আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন- মাহবুব উদ্দিন খোকন, গাজী মহসীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াহিয়া দুলাল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শাহীন মৃধা।
জামিন আবেদন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তারসহ ১৮ আসামি।
২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে মাগুরায় যাচ্ছিলেন। তখন যশোর-সাতক্ষীরা সড়কে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহর পৌঁছালে একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা গুলিবর্ষণ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
এসময় বিরোধীদলীয় নেতা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার গাড়ি বহরে থাকা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, জোবায়দুল হক রাসেল, শেখ হাসিনার ক্যামেরাম্যান শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও এ ঘটনায় আহত হন। ওইদিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন।
২০১৫ সালে এ ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এর মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলায় এক আসামি রকিবরের বয়স ঘটনার সময় ১০ বছর ছিলো উল্লেখ করে হাইকোর্টে মামলা বাতিলে আবেদন করা হয়। ২০১৭ সালে ওই আবেদনের একই সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
গত বছর ৮ অক্টোবর ওই রুল খারিজ করে রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাকিবুর। এ আবেদনে আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। এরপর বিচার শেষে সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের সর্বোচ্চ ১০ বছর করে এবং বাকি ৪৭ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: