আপাতত সোহরাওয়ার্দীর গাছ না কাটার নির্দেশ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ আপাতত না কাটার নির্দেশ নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তাকে (অ্যাটর্নি জেনারেল) এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটা নিয়ে আদালত অবমাননার মামলার শুনানির জন্য আগামী ২০ মে (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য করেন আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি মামনুন রহমানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ নির্দেশ দেন। আজ আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
গত ৮ মে আদালতের আদেশ অমান্য করে রেস্টুরেন্ট স্থাপনের জন্য গাছ কাটায় সরকারের এক সচিবসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।
এর আগে গত ৬ মে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, গণপূর্ত বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. শামিম আখতার এবং চিফ অর্কিটেক্ট অব বাংলাদেশ মীর মনজুর রহমানকে ই-মেইলে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
নোটিশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মধ্যে গাছ কাটা বন্ধ করে রেস্টুরেন্ট-দোকান স্থাপনের কার্যক্রম বাতিল করার জন্য বলা হয়েছিল।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে ২০০৯ সালে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত রবিবার (৯ মে) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সৌন্দর্য বাড়ানোর নামে গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেন ছয় সংগঠন ও এক ব্যক্তি।
ওই ৬ সংগঠন ও এক ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী এ রিট দায়ের করেন। রিটকারী সংগঠন ও ব্যক্তি হলেন- বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফরমস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), নিজেরা করি, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
গত ৬ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সৌন্দর্য বাড়ানোর নামে গাছ কাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠান তারা।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: