For Advertisement
আদালতে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম, স্বামী রিমান্ডে
স্ত্রীকে আদালত প্রাঙ্গণে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে নুরুজ্জামান দেওয়ান নামে এক ব্যক্তি ও তার সহযোগীকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনিল চন্দ্র রায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- নুরুজ্জামান দেওয়ান ও তার সহযোগী কামরুল ইসলাম।
আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন সোহেল রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রিমান্ড শুনানিতে তিনি বলেন, ‘ঘটনা দুঃখজনক। স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার।
তখন বিচারক নুরুজ্জামানের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘একজন স্ত্রীকে কিভাবে স্বামী এমনভাবে মারতে পারে।’
তখন আকতার হোসেন সোহেল বলেন, ‘বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় স্ত্রী আরেকজনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকলে কোনো স্বামীর মাথা ঠিক থাকে না। কারো মাথা ঠিক থাকার কথা না। সন্তান নিতে চাইলে স্ত্রী সন্তানও নিতে চায় না। সে স্বাধীনভাবে ঘুরতে চায়। রাগের বশবর্তী হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এখন মামলা হয়েছে। ভুল-ত্রুটি করেছে। প্রায়চিশ্চত করুক। তবে তাদের রিমান্ডে দিয়েন না। প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’
শুনানি শেষে আদালত দুই আসামির এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
বুধবার পুরান ঢাকার সদরঘাটে নিম্ন আদালতপাড়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে।
স্বামী নুরুজ্জামান দেওয়ানের বিরুদ্ধে যৌতুক চেয়ে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছিলেন স্ত্রী রাহিমা খাতুন। ওই মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল গত বুধবার। শুনানিতে উপস্থিত হতে বাদী ও আসামি সকালে আদালতে আসেন। সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাহিমা কোর্ট এলাকায় এসে তার আইনজীবীর চেম্বারে যাওয়ার পথে সাড়ে ৯টার দিকে কোতয়ালী থানাধীন ১৬/৩ কোর্ট হাউজ স্ট্রীট , মানিক স্টোরের সামনে নুরুজ্জামানের সঙ্গে রাহিমার দেখা হয়। তখন মামলা তুলে নিতে তাকে হুমকি-ধামকি দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
রাহিমা প্রতিবাদ করলে নুরুজ্জামান তাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। সে উঠে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে কোমর থেকে দা বের করে রাহিমাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে নুরুজ্জামান।
এ ঘটনায় নুরুজ্জামান ও তার সহযোগী কামরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে সাধারণ জনতা। আর রাহিমা খাতুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে রাহিমা খাতুনকে আহত করার ঘটনায় তার বোন সারমিন আক্তার বৃহস্পতিবার নুরুজ্জামান ও কামরুলকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র রায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
স্ত্রীর মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, নুরুজ্জামান ভুক্তভোগী রাহিমা খাতুনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৮ সালের মার্চে কক্সবাজার নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীকে নুরুজ্জামান রাহিমাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা হয়। আপোষ-মীমাংসার প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে নুরুজ্জামান যৌতুকের জন্য রাহিমাকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। গত বছর ১০ মার্চ রাহিমাকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে নুরুজ্জামান। এ ঘটনায় রাহিমা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন, যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
Latest
For Advertisement
- প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
-
- গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
-
- হাসিনা রহমান শিপন,
- রাশিকুর রহমান রিফাত
Developed by WebsXplore