For Advertisement
সানাউল্লাহ হত্যা : যাবজ্জীবন-মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিই খালাস
২১ বছর আগে গাজীপুরের কাপাসিয়ার সানাউল্লাহ সরকার হত্যায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও যাবজ্জীবন পাওয়া ৯ আসামিকেই খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতে দণ্ডিতদের বিষয়ে মামলায় উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন। মামলার ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামিদের আপিল-জেল আপিল গ্রহণ করে এ রায় দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল হোসেন ও গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ। আইন কর্মকর্তা বশির উল্লাহ পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী না থাকা এবং আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না থাকায় আদালত আসামিদের খালাস দিয়েছেন। ’ তবে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানান তিনি।
পারিবারিক কলহের জেরে ২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে সানাউল্লাহ সরকারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সানাউল্লাহর ভাই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা করেন।
এ মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক ফজলে এলাহি ভূঁইয়া ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম, আলম শেখ, সেলিম শেখ, নয়ন শেখ, আনোয়ার হোসেন শেখ।
যাবজ্জীবন দেওয়া হয় আনোয়ারা বেগম, আবদুল মোতালেব ও শামসুদ্দিনকে। বিচারিক আদালতে এ রায়ের পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আনোয়ারা বেগম ও মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আলম শেখের মৃত্যু হয়। আইনবিধি অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে খালাস চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। সেসব আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানির পর খালাসের রায় দিলেন উচ্চ আদালত।
একই আদালতে আরেক মামলায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মো. আরিফ মিজি (২৮) নামের আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীন দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মামুনুর রশিদ মো. আরিফ মিজিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।
আদালতে এই আসামির পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম। আসামিপক্ষের এই আইনজীবী পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসামির বয়স বিচেনায় নিয়ে আদালত মৃত্যুদণ্ডের সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। ’
২০১২ সালের ২৩ আগস্ট ফরিদগঞ্জ উপজেলার আইটপাড়ার মো. বিল্লাল হোসেন মিজির বসতঘরে ঢুকে তার ছেলে শাহাদাত হোসেন রাজুকে (১৯) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন মো. আরিফ মিজি (২৮)।
Latest
For Advertisement
- প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
-
- গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
-
- হাসিনা রহমান শিপন,
- রাশিকুর রহমান রিফাত
Developed by WebsXplore