Thursday 18 April, 2024

For Advertisement

বিধিনিষেধের সাত দিন সীমিত পরিসরে চলবে আদালত

30 June, 2021 9:57:32

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের সাত দিন দেশের নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতের বিচারিক কার্যক্রম একেবারেই সীমিত পরিসরে চলবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সীমিত পরিসরে আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত পৃথক তিনটি বিজ্ঞপ্তি বুধবার জারি করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো: আলী আকবর স্বাক্ষরিত আপিল বিভাগ ও চেম্বার আদালত সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও চেম্বার আদালতের বিচারিক কার্যক্রম আগামি ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই
পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে। আগামি ৬ ও ৭ জুলাই অনলাইন কজলিস্ট আপিল বিভাগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের ফৌজদারী আপিল ও জেল আপিল শুনানী হবে। বিচারপতিবৃন্দ, আইনজীবীবৃন্দ এবং কর্মকর্তাগণ নিজ নিজ বাসা হতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে সংযুক্ত হবেন। আর ১ জুলাই হতে উদ্ভূত বিষয়ে চেম্বার আদালতে শুনানি সংক্রান্তে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার, বিভাগের রেজিস্ট্রার, এবং সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা গেল। শুনানির দরখাস্তের বিষয়ে উক্ত কর্মকর্তাগণ চেম্বার আদালতের বিচারপতিকে অবহিত করবেন এবং বিচারপতি কর্তৃক অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত দরখাস্তই কেবল উক্ত কর্মকর্তাগণ কর্তৃক প্রদানকৃত ই-মেইলে পাঠানো যাবে। এই সময়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থীদের না আসার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

হাইকোর্ট সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামি ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই সীমিত হাইকোর্টের বিচারিক কার্যক্রম পরিসরে পরিচালিত হবে। এসময় রিট ও দেওয়ানী, ফৌজদারী ও কোম্পানী এবং অ্যাডমিরালটি সংক্রান্তে একটি করে মোট তিনটি বেঞ্চ ভার্চুয়াল মাধ্যমে অতীব জরুরি বিষয়ে শুনানি করবেন। এক্ষেত্রে বিচারপতিবৃন্দ, আইনজীবীবৃন্দ এবং কর্মকর্তাগণ নিজ নিজ বাসা হতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে সংযুক্ত হবেন। আর ১ জুলাই হতে উদ্ভূত বিষয়ে চেম্বার আদালতে শুনানি সংক্রান্তে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার,বিভাগের রেজিস্ট্রার, এবং সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা গেল। শুনানির দরখাস্তের বিষয়ে উক্ত কর্মকর্তাগণ সংশ্লিষ্ট বিচারপতিকে অবহিত করবেন এবং বিচারপতি কর্তৃক অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত দরখাস্তই কেবল উক্ত কর্মকর্তাগণ কর্তৃক প্রদানকৃত ই-মেইলে পাঠানো যাবে। এই সময়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থীদের না আসার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

অধস্তন আদালত সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামি ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত দেশের সকল অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী জেলা/মহানগরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন। এই সময়ে আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থাপন করা যাবে। এছাড়া নেগোসিয়েবল ইন্সট্রুমেন্টস অ্যাক্ট সহ যে সকল আইনে মামলা বা আপিল দায়েরের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত, সে সকল আইনের মামলা বা আপিল শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে তামাদির মেয়াদ অক্ষুণ্ণ গণ্যে দায়ের করা যাবে। এই বিজ্ঞপ্তিতে অধস্তন আদালতের সকল বিচারক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। আর জরুরি প্রয়োজন বাদে এই সময়ে আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গণে না আসার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

গত বছর করোনা সংক্রমণ শুরুর প্রেক্ষাপটে আদালতগুলোতে টানা সাধারণ ছুটি চলার এক পর্যায়ে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে দেশের অধস্তন আদালত, এরপর হাইকোর্ট এবং পরবর্তীসময়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে। তবে এরপর আবার কিছুদিন ভার্চুয়ালের পাশাপাশি শারীরিক উপস্থিততে আদালতের কার্যক্রম চলে। তবে পরে আবার দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে সব আদালতের কার্যক্রম পুনরায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুরু হয়।একপর্যায়ে গত ১২ এপ্রিল থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, চেম্বার আদালত এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে চলে। তখন সপ্তাহে ৩ দিন আপিল বিভাগ, ২ দিন চেম্বার আদালত এবং পর্যায়ক্রমে ১৬ টি হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এরপর গত ১ জুন থেকে আদালতের কার্যক্রমের পরিধি বেড়ে সপ্তাহে ৫ দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ, ৩ দিন চেম্বার আদালত ও ২১ টি হাইকোর্ট বেঞ্চে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়। সর্বশেষ গত ২০ জুন থেকে হাইকোর্টের ৫৩টি বেঞ্চে বিচারকার্য পরিচালনা শুরু হয়। এছাড়া আইনজীবীদের দাবির মুখে শারীরিক উপস্থিতিতে সারা দেশের অধস্তন দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে স্বাভাবিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।

For Advertisement

সম্পাদক ও প্রকাশক:- এ এফ এম রিজাউর রহমান (রুমেল), এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  
  • প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সহযোগী-সম্পাদক:
    • গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
সহ -সম্পাদক:
    • হাসিনা রহমান শিপন,
নিউজ রুম ইনচার্জ :
    রাশিকুর রহমান রিফাত
© সকল স্বত্ব প্রতিচ্ছবি ডটকম ২০১৫ - ২০২২ অফিস: ৭২/২ উত্তর মুগদাপাড়া, ঢাকা ই-মেইল: dailyprotichhobi@gmail.com | মোবাইল: ০১৮১৮০৯৩১৩৭ ফোন:+৮৮০২৭২৭৭১৪৭

Developed by WebsXplore