- ভারতের জনগণের উদ্দেশে ১৪৫ নাগরিকের বিবৃতি
- যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের সম্পর্কে ফাটলের ইঙ্গিত, গুরুতর অভিযোগ মোদির বিজেপির
- আ.লীগকে বন্ধু বানাতে গিয়ে ভারত বাংলাদেশের মানুষকে শত্রু বানিয়েছে: মেজর হাফিজ
- বিজয় মেলা নিয়ে বিরোধ, বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১১
- বাজার থেকে উধাও সয়াবিন তেল
- মালয়েশিয়ার কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রপতি
সাড়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেও রেকর্ড সংখ্যক বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে দেশে। এর পরিমাণ ৪৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মঙ্গলবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত বছরের তুলনায় বৈদেশিক রিজার্ভের প্রবৃদ্ধি ৩৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি। ২০২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসে রিজার্ভের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।
২০২১ অর্থবছরের মে মাসে ২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। পয়লা জুলাই থেকে ৩১ মে পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে ২২ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। অথচ ২০২০ অর্থবছরের মে মাসে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। গত বছরের জুলাই থেকে মে মাসে দেশে মোট রেমিটেন্স এসেছিল ১৬ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী এক লাখ টাকা দেশে পাঠালে এর সঙ্গে আরও দুই হাজার টাকা যোগ করে মোট এক লাখ দুই টাকা পাচ্ছেন তারা।
এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ দেওয়ার অফার দিচ্ছে। এতে করে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন বিদেশে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসছে, রপ্তানিও বেড়েছে। এছাড়াও আমদানি ব্যয়ের চাপ কম, দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা এবং বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ রিজার্ভ দিয়ে আগামী ১২ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরের ১০ মাসে রেমিট্যান্স দুই হাজার কোটি (২০ বিলিয়ন) ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: