- বৈঠকটি ছিল ঐতিহাসিক, জাতিকে দিকনির্দেশনা দেবেন খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূস: তারেক রহমান
- প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা
- সীমান্তে ফের ১৩ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
- বিশ্বজুড়ে দূতাবাস বন্ধ করেছে ইসরায়েল
- ভারতে বিমান বিধ্বস্ত: স্বজনহারাদের পাশে শাহরুখ-আমির-সালমান
- যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর উদ্যোগ, যা বলছেন অর্থনীতিবিদরা

ব্যাংক ও খোলা বাজারে ডলারের দামে ব্যবধান কমছে

বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়ায় আন্তঃব্যাংকে এর দাম কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে আমদানিতে ও খোলা বাজারেও দাম কিছুটা কমেছে।
গত ২ মাস ধরে দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। একই সঙ্গে রপ্তানি আয়ও বেড়েছে। অন্যদিকে আমদানির আড়ালে দেশ থেকে টাকা পাচার অনেকটা কমেছে। এসব কারণে বাজারে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে।
সূত্র জানায়, আন্তঃব্যাংকে এতদিন বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ১২০ টাকা দামেই ডলার লেনদেন হতো। ডলারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিæ দাম একই ছিল। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ দাম ১২০ টাকা থাকলেও সর্বনিম্ন দাম ১১৯ টাকা ৯০ পয়সায় নেমে আসে।
একই সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে। আগে প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি থেকে ৪০ লাখ ডলার লেনদেন হতো। বৃহস্পতিবার ৪ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার লেনদেন হয়। গড় দাম ছিল ১১৯ টাকা ৯৮ পয়সা। আগে গড় দাম ১২০ টাকা ছিল।
আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম সামান্য কমাটাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন ব্যাংকাররা। তারা মনে করছেন, ডলারের প্রবাহ বাড়লে আরও কিছুটা কমবে। যদি নাও কমে আর বাড়বে না। এটি ইতিবাচক। ফলে আমদানি ব্যয় কমে যাবে। একই সঙ্গে ডলারের বিপরীতে টাকার মান স্থিতিশীল থাকলে মূল্যস্ফীতিতে চাপও কিছুটা কমবে।
এদিকে আমদানিতেও ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। আগে কোনো কোনো ব্যাংকে ১২২ থেকে ১২৩ টাকা দামেও আমদানির ডলার বেচাকেনা হতো। এখন প্রায় সব ব্যাংকেই ১২০ টাকার মধ্যে নেমে এসেছে। ফলে আমদানি ব্যয় টাকার অঙ্কে কিছুটা হলেও কমবে। এর প্রভাবে আমদানি পণ্যের দাম যেমন কিছুটা কমার সুযোগ তৈরি হবে। তেমনি আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপও কিছুটা কমবে।
খোলা বাজারেও ডলারের দাম কমে এসেছে। বৃহস্পতিবার প্রতি ডলার বেচাকেনা হয়েছে ১২১ থেকে ১২২ টাকায়। কোনো কোনো স্থানে এর চেয়ে সামান্য কিছু বেশি ছিল। খোলা বাজারে দাম কমায় ব্যাংক কার্ব মার্কেটের মধ্যকার ডলারের দামের ব্যবধান কমে এসেছে। এখন ব্যাংক ও খোলা বাজারের মধ্যে ডলারের দামে ব্যবধান হচ্ছে ১ থেকে ২ টাকা। আগে এই ব্যবধান ১০ টাকার বেশি ওঠেছিল।
তবে আগের বকেয়া আমদানি ব্যয় মেটানোর চাপ এখনও রয়েছে। ফলে ওইসব দেনা পরিশোধ করতে হচ্ছে বলে রিজার্ভে কিছুটা চাপ রয়েছে। এখন রিজার্ভ বাড়ছে না। স্থিতিশীল রয়েছে। তবে রিজার্ভের পতন ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: