
আমদানির খবরে কমল পেঁয়াজের দাম

দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। তাই বাধ্য হয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভারত থেকে আমদানির অনুমতি চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরের পর হিলিতে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে। দুই দিন আগে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
রবিবার (২১ মে) দুপুরে হিলি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫ টাকায় পাওয়া গেছে। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আরিফুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম বেশি। দু’দিন আগে পেঁয়াজ কিনলাম ৮০ টাকা কেজি দরে আজ সেই পেঁয়াজ কিনলাম ৬৫ টাকায়। দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা করে কমেছে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শামীম হোসেন বলেন, পেঁয়াজের দাম কখনও বাড়ছে আবার কখনও কমছে। দামের ওঠা-নামার কারণে আমরাও মোকামে পেঁয়াজ কিনতে পারছি না। আগের দিন যে পেঁয়াজ ২ হাজার ৮০০ টাকা মণ বিক্রি হলো সেই পেঁয়াজ এখন ২ হাজার ২০০ টাকায় নেমেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কথা বলায় একদিনের ব্যবধানে প্রতি মণ পেঁয়াজে ৬০০ টাকা কমেছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশীদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দেশীয় কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় গত ১৫ মার্চের পর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রেখেছে সরকার। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে চলছেন। এমন অবস্থায় দেশে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা বেশকিছু দিন ধরেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে আসছিলাম।
হিলি স্থলবন্দরের উপসহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া বন্ধ রেখেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এতে হিলি স্থলবন্দরসহ দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বমুখীর কারণে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির কথা বলেছেন। তবে, এখন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র বা আইপি ইস্যু হয়নি।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: