Saturday 18 May, 2024

For Advertisement

যুদ্ধই এই মুহূর্তে বড় ঝুঁকি: অর্থমন্ত্রী

28 April, 2022 11:12:41

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এটা আগেই নির্ধারণ করা এবং এখনো সেটাই ঠিক রাখা হয়েছে। কিন্তু যদি যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়, তাহলে এই লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করতে হবে। যদি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী না হয় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে তাহলে প্রাক্কলিত জিডিপি অর্জন সম্ভব হবে।

বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন শক্তিশালী অবস্থানে আছে। ইউক্রেন-রুশ যুদ্ধ থেমে গেলে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। আমরা বিশ্বাস করি, যুদ্ধ থেমে যাবে এবং বিশ্ব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এতে দেশের অর্থনীতি আরও মজবুত হবে।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিয়েছে যে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হবে। এর আগে, বিশ্বব্যাংকও চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির অনুমান কমিয়ে ৬ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল। যেখানে এডিবি সামান্য বাড়িয়ে করেছিল ৬ দশমিক ৯ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে পণ্যের দাম বেড়েছে এবং তার প্রভাব বাংলাদেশও পড়েছে। দাম কেন বাড়ছে- তার ব্যাখ্যা আমি আগে দিয়েছি। আমরা সারা বিশ্বের সঙ্গে একীভূত। কাজেই জিনিসপত্রের দাম একটু বেড়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যদি কোনো বিঘ্ন ঘটে সেটা আমরা এড়াতে পারি না। আমাদের ভাগ করে নিতে হবে।

যুদ্ধের কারণে ভর্তুকিতে চাপ অনুভব করছেন কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সাবসিডি (ভর্তুকি) নয়, ইনফ্লেশন (মূল্যস্ফীতি) ম্যানেজমেন্ট (ব্যবস্থাপনা) মুখ্য। মূল্যস্ফীতির হার সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে কী করা যায়, তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধই এই মুহূর্তে বড় এক্সটারনাল ভারনাবিলিটি (বহির্গত ঝুঁকি)। আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনে বলেন, বাজেট ঘাটতি আর্থিক লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই থাকবে।

৬ প্রস্তাব অনুমোদন : ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদনের জন্য ৯টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। তবে প্রতিযোগিতার অভাব এবং একই সরবরাহকারী একসঙ্গে তিনটি কাজ পাওয়ায় নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ৩টি ফেরত পাঠানো হয়। বাকি ৬টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৫ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা।

অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, ১০ হাজার টন ফসফরিক এসিড কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে মোট ১০১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন তিন লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করবে। এটি আনা হবে ইন্দোনেশিয়া থেকে। ব্যয় হবে ৪ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৯৯২ কোটি টাকা। মরক্কো হতে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আনা হবে। এতে ব্যয় হবে ২৫৯ কোটি টাকা। আর কাতার থেকে আনা হবে ৩০ হাজার টন সার। এতে ব্যয় হবে ২৪০ কোটি টাকা।

Latest

For Advertisement

সম্পাদক ও প্রকাশক:- এ এফ এম রিজাউর রহমান (রুমেল), এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  
  • প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সহযোগী-সম্পাদক:
    • গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
সহ -সম্পাদক:
    • হাসিনা রহমান শিপন,
নিউজ রুম ইনচার্জ :
    রাশিকুর রহমান রিফাত
© সকল স্বত্ব প্রতিচ্ছবি ডটকম ২০১৫ - ২০২২ অফিস: ৭২/২ উত্তর মুগদাপাড়া, ঢাকা ই-মেইল: dailyprotichhobi@gmail.com | মোবাইল: ০১৮১৮০৯৩১৩৭ ফোন:+৮৮০২৭২৭৭১৪৭

Developed by WebsXplore