For Advertisement
লেখক মিলান কুন্দেরার জীবনাবসান
‘দ্য আনবিয়ারেবল লাইটনেস অব বিয়িং’ এর লেখক এবং বিশ্ববিখ্যাত ঔপন্যাসিক মিলান কুন্দেরা মারা গেছেন। বুধবার তার জন্মস্থান ব্রনোতে প্রতিষ্ঠিত মিলান কুন্দেরা লাইব্রেরির মুখপাত্র জানিয়েছেন, মঙ্গলবার প্যারিসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। খবর এএফপির।
তার লেখনি বরাবরই ছিল পাঠকপ্রিয়। তার মুখপাত্র বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমি নিশ্চিত করতে পারি যে মিলান কুন্দেরা দীর্ঘ অসুস্থতার পর গতকাল (মঙ্গলবার) মারা গেছে।’
চরিত্রগত ব্যঙ্গ এবং কাব্যিক গদ্যের মাধ্যমে কুন্দেরা ভিন্নমতের জন্য তার চেক জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার নিজের অভিজ্ঞতার ওপর আঁকিয়ে জীবন সম্পর্কে যা কিছু অত্যাবশ্যক এবং অযৌক্তিক তা প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন।
তিনি ‘আর্ট অফ দ্য নভেল’ (১৯৮৬) তে বলেছিলেন, ‘জীবন একটি ফাঁদ যা আমরা সবসময়ই জানি; আমরা না চাইতেই জন্মগ্রহণ করেছি, এমন একটি দেহে আবদ্ধ হয়েছি যা আমরা কখনই বেছে নিইনি এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করছি।’
কুন্দেরার জন্ম ১ এপ্রিল, ১৯২৯ সালে তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ার ব্রানো শহরে। তার বাবা একজন বিখ্যাত পিয়ানোবাদক ছিলেন। তিনি প্রাগে শিক্ষাজীবন শুরু করেন এবং পরে সেখানেই তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। তরুণ বয়স থেকেই তিনি ফরাসি কবি অ্যাপোলিনায়ার অনুবাদ এবং নিজের কবিতা লেখা শুরু করেন।
তিনি একটি ফিল্ম স্কুলে পড়াতেন যেখানে একসময়ের ছাত্র ছিলেন অস্কার বিজয়ী পরিচালক মিলোস ফরম্যান। যদিও তিনি কমিউনিজমের প্রতি বিশ্বস্ততা প্রকাশ করেছিলেন তাই তার স্বাধীনচেতা লেখার কারণে তাকে বিপদে পড়তে হয়েছিল।
১৯৫০ সালে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং ১৯৫৬ সালে পুনরায় তিনি যোগদান করেন। প্রাগ বসন্তের সংস্কার আন্দোলনে ভূমিকার কারণে তাকে ১৯৭০ সালে দ্বিতীয়বার বহিষ্কার করা হয়।
কুন্দেরার প্রথম উপন্যাস ‘দ্য জোক’ ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত হয়। এটি ছিল একদলীয় রাষ্ট্র সম্পর্কে গাঢ় হাস্যরসত্মক লেখনি। চেকোস্লোভাকিয়ায় তার লেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় এবং এটি তাকে তার স্বদেশে বিখ্যাত করে তোলে।
১৯৭৫ সালে তিনি এবং তার স্ত্রী ভেরা ফ্রান্সে নির্বাসনে যান, যেখানে তিনি রেনেস বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে চার বছর কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। ১৯৭৯ সালে তাদের চেক জাতীয়তা কেড়ে নেওয়া হয়।
তার কিছু বিখ্যাত লেখনির মধ্যে রয়েছে, ‘লাইফ ইজ এলসহোয়ার’ (১৯৭৩), ‘দ্য বুক অব লাফটার অ্যান্ড ফরগেটিং’ (১৯৭৯)। তার সবচেয়ে বিখ্যাত লেখা ‘দ্য আনবেয়ারেবল লাইটনেস অব বিয়িং’ ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে ১৯৮৭ সালে এর ওপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়।
২০১৯ সালে চেক প্রজাতন্ত্র তার জাতীয়তা ফিরিয়ে দেয়। ২০২৩ সালে তার নিজ শহর ব্রনোতে মিলান কুন্দেরা লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন।
Latest
For Advertisement
- প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
-
- গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
-
- হাসিনা রহমান শিপন,
- রাশিকুর রহমান রিফাত
Developed by WebsXplore