For Advertisement
ঢালিউড প্লেব্যাক সম্রাটের চলে যাওয়ার তিন বছর
দীর্ঘ ১০ মাস মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন দেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। জয়ী হতে পারেননি। তিন বছর আগে ২০২০ সালের ৬ জুলাই একরকম শূন্যতা দিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। তবে তার গেয়ে যাওয়া ১৫ হাজারেরও বেশি গান রয়েছে আগের মতোই জীবন্ত।
১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন ঢালিউডের ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ হিসেবে খ্যাত এন্ড্রু কিশোর। তিন দশকেরও বেশি সময় একাই রাজত্ব করেছেন বাংলা সিনেমায়। শারীরিক অসুস্থতার জন্য ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর তার শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে।
টানা কয়েক মাস চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দিলে এন্ড্রু কিশোরের ইচ্ছাতেই ২০২০ সালের জুন মাসে তাকে দেশে আনা হয়। ২০ জুন তাকে নেয়া হয় রাজশাহী নগরীর মহিষবাথানে বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাসায়। সেখানে ৬ জুলাই সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। ১৫ জুলাই রাজশাহী সার্কিট হাউস সংলগ্ন এলাকায় খ্রিষ্টানদের কবরস্থানে সমাহিত করা হয় এই শিল্পীকে।
বাংলাদেশের গানে এন্ড্রু কিশোর ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামে পরিচিত ছিলেন। আধুনিক ও চলচ্চিত্রজগতের কালজয়ী অনেক গান তার কণ্ঠে সমৃদ্ধ হয়েছে। সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ অনুভূতি- সব ধরনের গানই তিনি গেয়েছেন। দীর্ঘদিন পুরোদস্তুর পেশাদার কণ্ঠশিল্পী হিসেবে দুই বাংলায় গান করেছেন এন্ড্রু কিশোর।
সংগীত ক্যারিয়ারে শ্রেষ্ঠ গায়ক বিভাগে আটটি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ জিতেছেন প্রয়াত এই সংগীত আইকন। এছাড়া দুটি ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার’ ও তিনটি ‘বাচসাস’ পুরস্কার’সহ এন্ড্রু কিশোরের ঝুলিতে আছে অসংখ্য নামিদামি সম্মাননা। তার মৃত্যু বাংলা সংগীতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
Latest
For Advertisement
- প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
-
- গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
-
- হাসিনা রহমান শিপন,
- রাশিকুর রহমান রিফাত
Developed by WebsXplore