- সাবের হোসেন চৌধুরীর ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
- আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ২৫ হাজার কোটি টাকা
- সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর: ড. ইউনূস
- হিজবুল্লাহর রকেটের আঘাতে কাঁপল ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর
- পালিয়ে দিল্লি গেলেন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা মনিরুল
- শীত কবে আসবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- শেরপুরে বন্যায় ৮ জনের প্রাণহানি
খুলনায় করোনা হাসপাতালে ঠাঁই মিলছেনা রোগীর
খুলনার করোনা হাসপাতাল করোনা রোগীতে ভরে গেছে। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে বর্তমান চিত্রতে দেখা মিলছে বাড়তি রোগীর চাপ। ১০০ শয্যার হাসপাতালে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ১১ জন করোনা রোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে রাখা হয়েছে। এতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ভোগান্তি বাড়ছে রোগীর। এদিকে চাপ সামাল দিতে বেসরকারি দুটি হাসপাতালে এখন থেকে করোনা রোগী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১২৩ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২১২ জন। মারা গেছেন ২৭ জন। খুলনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সমন্বয়কারী ডা. শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হাসপাতালে ঠাঁই নেই। ১০টি আইসিইউ বেডের সব কয়টিতে মুমূর্ষু রোগী ভর্তি রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালটিকে ১০ থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সংকট এখনো দূরীভূত করা যায়নি। ফলে রোগীদের পূর্ণ সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা থাকছেই।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪৭ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৪ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫ জন এবং একজন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র জানায়, খুলনায় করোনা হাসপাতাল হওয়ার পর একসঙ্গে ১২৫ জন রোগী ভর্তি এই প্রথম। এর আগে ১০০ রোগীর কাছাকাছি ভর্তি হয়েছে। তবে এবার যে পরিমাণ রোগী ভর্তি হচ্ছে তা আগে কখনও হয়নি। এত রোগীর চাপ সামলাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
অপরদিকে খুলনা মহানগরীসহ আশপাশ এলাকার পাশাপাশি বিভাগের অন্যান্য জেলার চিত্রও প্রায় একই। বিভাগের ১০০ জেলায় গত শনিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৪২ জন, সুস্থ হয়েছেন ৩১ হাজার ৭৫৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৬৬৬ জন। এ তথ্য জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের দৈনন্দিন করোনা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, খুলনা বিভাগে শনিবার ছয়জন, আগের দিন চারজন, ৩রা জুন তিনজন, ২রা জুন পাঁচজন এবং ১লা জুন তিনজনের মৃত্যু হয়।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: