- থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
- জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার
- উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ২৫ জন
- আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা হতে পারে পাঁচ ঘণ্টার
- আগামীকাল ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী
- ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- ফের হামলা হলে ইসরাইলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ইরানের
- শোকজ শুরু বিএনপির পদধারী প্রার্থীদের
ছাত্রকে বেধড়ক পেটানো সেই মাদ্রাসাশিক্ষক গ্রেফতার
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাদ্রাসার ছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মুহাম্মদ ইয়াহিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদ। তিনি জানান, ছাত্রকে পিটুনির ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে, মঙ্গলবার মুহাম্মদ ইয়াসিন ফরহাদ (৮) নামের মাদ্রাসাছাত্রকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। হাটহাজারী পৌর এলাকার কনক কমিউনিটি সেন্টারের কাছে মারকাজুল কুরআন ইসলামিক একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াহিয়াকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করে। আটক করে তাকে নেওয়া হয় থানায়।
মঙ্গলবার রাতে পিটুনির শিকার মাদ্রাসাছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে আইনি প্রতিকার না চেয়ে উল্টো লিখিতভাবে শিক্ষককে ছেড়ে দিতে প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়। এরপরই হেফাজতে রাখা শিক্ষককে ছেড়ে দেয় পুলিশ। পরে বুধবার আবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, মারকাজুল কুরআন ইসলামিক একাডেমিতে ওই ছাত্র হেফজ বিভাগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভর্তি হয়। মঙ্গলবার বিকেলে ওই ছাত্রের মা ছেলেকে দেখতে মাদ্রাসায় যান। বিকেল ৫টার দিকে চলে যাওয়ার সময় ছেলে মায়ের সাথে যেতে কান্নাকাটি করে।
একপর্যায়ে ছেলে কান্না করতে করতে মায়ের পিছু নিয়ে মাদ্রাসা থেকে ২০০ মিটার দূরে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের কনক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে যায়। এসময় হুজুর হাফেজ মুহাম্মদ ইয়াহিয়াও পিছু গিয়ে ছাত্র ফরহাদকে ধরে নিয়ে মাদ্রাসায় নিয়ে আসতে থাকে। ছাত্র আসতে না চাইলে তাকে টেনেহিঁচড়ে মাদ্রাসায় নিয়ে এসে বেত দিয়ে নির্মমভাবে পিটাতে থাকে।
পেটানোর দৃশ্য সেখানকার এক স্কুলছাত্র মোবাইলে ধারণ করে। পরে ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়। বিষয়টি দেখে রাত দেড়টার দিকে হাটহাজারী ইউএনও রুহুল আমিন পুলিশ টিমসহ মাদ্রাসায় গিয়ে মাদ্রাসার হুজুরকে আটক করেন। এ সময় খবর দেওয়া হয় ছাত্র ফরহাদের পরিবারকে। পরে হুজুরকে ইউএনও’র কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীর মা পারভীন আক্তার বলেন, ছেলেকে কোরআনের হাফেজ বানানোর জন্য মাদ্রাসায় দিয়েছি। সে আমার পিছু পিছু কান্না করতে করতে আসে। পরে হুজুর ধরে নিয়ে কী করেছে জানি না। রাতে ভিডিওতে যা দেখলাম তাতে হতবাক হয়েছি।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: