- তীব্র গরম, মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা থাকলেও মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
- সামনের সব নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক হবে: শেখ পরশ
- ইউক্রেনে রাতভর আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া
- মধ্যরাতে দুঃখ প্রকাশ করলেন পরীমনি
- সিলেটে বিএনপির ৪৩ নেতা আজীবন বহিষ্কার
- বাজেট ডিব্রিফিং সেশন এমপিদের গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিচ্ছে: স্পিকার
- ২ সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
- সাকিবের না থাকা আমাদের জন্য চিন্তার কারণ: নান্নু
- মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৯.৯৪ শতাংশ, এক দশকে সর্বোচ্চ

পালিয়ে বিয়ের পর কিশোরীকে ভবনের ছাদ থেকে নিক্ষেপ

বরিশালে বিয়ের সাত মাসের মাথায় যৌতুকের দাবিতে কিশোরী বধূকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নগরীর রুপাতলী হাউজিং এলাকার ২২ নম্বর সড়কের সারা-জারা ভবনের সামনে থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
কিশোরী বধূ জান্নাতুল ফেরদৌসি (১৪) নগরীর রুপাতলী শের ই বাংলা সড়কের দিনমজুর রিপন হাওলাদারের কন্যা।
কিশোরীর মা নূপুর বেগম জানান, তার কন্যা রুপাতলী এলাকার এ ওয়াহেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সাত মাস পূর্বে রুপাতলী ভাসানী সড়কের বাসিন্দা অটোচালক রাকিব হোসেনের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে। মেয়ে নিখোঁজের পর থানায় জিডিও করেন। পরে ছেলের বাবা বিয়ের বিষয়টি জানিয়ে মীমাংসা করেন।
তিনি বলেন, এরপর থেকে মেয়ে ভাসানী সড়কের স্বামীর বাসায় থাকতো। দুই মাস আগে কন্যাকে বাসায় দিয়ে যায় জামাই রাকিব। তখন বলে দুই লাখ টাকার ফার্নিচার দিয়ে মেয়েকে পাঠিয়ে দেবেন। আমাদের সামর্থ্য না থাকায় মেয়েকে না পাঠানোর সিদ্বান্ত নেই। কিন্তু কয়েকদিন আগে আবারও জামাইয়ের সঙ্গে মেয়ে পালিয়ে যায়। এরপর আর খোঁজ নেইনি।
নূপুর বেগম জানান, রাত ১০টার দিকে এক লোক তাকে হাসপাতালে আসতে বলে। তারা আসার পর মেয়ে শুধু এটুকুই বলেছে, তার স্বামী ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে। আর কিছু তিনি জানেন না।
একই কথা জানিয়ে রিপন হাওলাদার বলেন, যৌতুকের দাবিতে জামাই, শাশুড়ি ও ননদ খুব মারধর করতো। কিভাবে ও কয় তলা থেকে ফেলেছে, সেই কথা মেয়ে কিছুই বলতে পারেনি। ঘটনাস্থল রুপাতলী হাউজিংয়ের ২২ নম্বর সড়কের সারা-জারা ভবনে গিয়েও সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
কিশোরী বধূকে উদ্ধার করা ওই ভবনের প্রতিবেশি মো. নিজাম বলেন, আমি বাইরে বের হওয়ার পর হঠাৎ করে ওপর থেকে কিছু পড়ার শব্দ শুনতে পাই। পরে দেখি ভবনের সামনে রাস্তার ওপর কিছু পড়ে আছে। নারীর চিৎকার শুনে কাছে গিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে ট্রিপল নাইনে কল করে অ্যাম্বুলেন্স এনে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই।
পাঁচ তলা সারা-জারা ভবনের মালিক স্বপন সরদারের ছেলে মেহেদি বলেন, কিভাবে এখানে আসলো বা কয়তলা ছাদ থেকে ফেলা হয়েছে তা কিছুই বলতে পারি না।
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাহাদাৎ হোসেন বলেন, ওপর থেকে পরে যাওয়ায় দুই পা ভেঙে হাড় বের হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও মাথায় আঘাত পেয়েছে। পা ভেঙে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালের নারী অর্থোপেডিক্স ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।
মহিলা অর্থপেডিক্স ওয়ার্ডের সেবিকা তমালিকা হালদার বলেন, অজ্ঞান অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। এখানে আনার পর জ্ঞান ফিরেছিল। তখন সে জানিয়েছে, স্বামী ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে। এর বেশি সে কিছু বলতে পারেনি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী বলেন, মেয়েটি সুস্থ না হলে কি ঘটনা ঘটেছিল বলতে পারবো না। পরিবারের পক্ষ থেকে পরিস্কার কিছু জানাতে পারছে না। মেয়েটিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, সেটা নিশ্চিত বলা যায়।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: