- সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর: ড. ইউনূস
- শেরপুরে বন্যায় ৮ জনের প্রাণহানি
- হিজবুল্লাহর রকেটের আঘাতে কাঁপল ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর
- আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ২৫ হাজার কোটি টাকা
- পালিয়ে দিল্লি গেলেন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা মনিরুল
- শীত কবে আসবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- সাবের হোসেন চৌধুরীর ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
চুয়াডাঙ্গায় করোনা শনাক্তের নতুন রেকর্ড
চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড সংখ্যক হারে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার। প্রতিদিনই নতুন নতুন ব্যাপক সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তের সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে রেকর্ড ৬৪ জনের করোনা পজেটিভ।
শনাক্তের হার ৯২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। জেলায় এ পর্যন্ত রেকর্ড শনাক্ত হার। গতকাল ছিল ৬৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর গত এক সপ্তাহে জেলায় করোনা আক্রান্তের গড় হার দাঁড়িয়েছে ৫৪ দশমিক ৩৪ শতাংশে। অপর দিকে চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার(২২ জুন) রাতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এমন উদ্বেগজনক তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে জেলার আরেক সীমান্তবর্তী উপজেলা জীবননগরে আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২০ জুন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও শহরতলী আলুকদিয়া ইউনিয়নে ৭ দিনের লকডাউনের আজ চতুর্থ দিন। আর গত ১৫ জুন দামুড়হুদা উপজেলার ১৪ দিনের লকডাউনের আজ ৯ম দিন। এসব জায়গায় লকডাউন চলছে নামে মাত্র। কোথাও কোন স্বাস্থ্যবিধি মানার চিত্র চোখে পড়েনি। তবে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন মানাতে অভিযান চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করা হচ্ছে জরিমানাও। শহরের মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশের তল্লাশী চৌকি। আটক করা হচ্ছে যানবাহন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় চুয়াডাঙ্গার ৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৬৪ জনের শরীরেই করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হলেন ২ হাজার ৭৯৬জন। নতুন ৬৪ জনের মধ্যে রয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলাতে ২২ জন, জীবননগর উপজেলায় ২২ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১০ জন ও দামুড়হুদা উপজেলার ১০ জন।
২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সুস্থ্য হলেন আরও ১০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ্যতার সংখ্যা দাঁড়ালো ২ হাজার ২০ জনে। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮৭ জনে। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৩ জন, বাসায় আইসোলেশনে আছেন ৬৩০ জন ও রেফার্ড করা হয়েছে ৪ জনকে।
সক্রিয় রোগীর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ২৫৪ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ২১৮ জন আলমডাঙ্গা উপজেলার ৮৭ জন ও জীবননগর উপজেলার ১২৮ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ২৮৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে ১১ হাজার ৬২৭ জনের।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: