- নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠছে কাল
- দেশে ফিরলেন না সাকিব, চলে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রে
- ইউনূস-মোদি বৈঠক হতে পারে নভেম্বরে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ইমিগ্রেশনে পার হননি, অবৈধ পথে ভারতে পালিয়েছেন আসাদুজ্জামান
- জাতিসংঘের মহাসচিবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইসরায়েলের
- ফের বাড়ল এলপিজির দাম
- তৃতীয় দফায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শনিবার
- শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা: খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
চার দিনে বুড়িগঙ্গা তীরের ১৮৭ স্থাপনা উচ্ছেদ
আদি বুড়িগঙ্গা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে সরকার। এই অভিযানে চার দিনে মোট ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযান চলবে আরও দুই দিন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের যৌথ পরিচালনায় গত রবিবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়। বুধবারও দিনভর চলেছে অভিযান।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী হাকীম ওবাদুল্লাহ এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষে নির্বাহী হাকীম মো. ইকবাল হোসেন এবং শেখ মো. মামুনুর রশীদ এই অভিযান পরিচালনা করেন।
বুধবার অভিযানের চতুর্থ দিনে লালবাগ রাজস্ব সার্কেলের আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের কামরাঙ্গীরচর মৌজায় (অধুনা হাজারীবাগ মৌজা) উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় একটি ছয়তলা পাকা ভবন, একটি দুই তলা পাকা ভবন, একটি চক পাউডার কারখানাসহ পাঁচটি আধাপাকা স্থাপনা, ছয়টি পাকা দোকান, একটি আরসিসি ফটক, ৪৫টি কাঁচা আসবাবপত্রের দোকান, সাতটি টিনশেডসহ মোট ৬৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
উচ্ছেদে আদি বুড়িগঙ্গার এক একর জায়গা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন যৌথ অভিযান পরিচালনাকারী দুই সংস্থা।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, শুরুর দিন রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) হাজারীবাগ, লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় চলা অভিযানে মোট ২৬টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এদিন কামরাঙ্গীর চর লোহারপুলের আশপাশের এবং শহীদনগর এলাকার ছয়টি পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে দুটি চারতলা, একটি তিনতলা, একটি ছয়তলা বাড়ির আংশিক, একটি দোতলা এবং একটি একতলা ভবন ভাঙা হয়। এছাড়া পাঁচটি সেমিপাকা বাড়ি, ১৩টি টিনের ঘর ও দুটি পাকা দেয়াল ভাঙা হয়। এতে প্রায় এক একর ভূমি দখলমুক্ত হয়।
দ্বিতীয় দিন সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দুটি ছয় তলা বাড়ি, দুটি পাঁচ তলা বাড়ি, একটি তিন তলা বাড়ি, চারটি চার তলা বাড়ি, একটি দুই তলা বাড়ি ও দুটি একতলা বাড়ি উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া ১০টি সেমিপাকা, একটি টিনের ঘর, দুটি পাকা দোকান ও ০ দশমিক ৫ একর জমি উদ্ধার করা হয়। অভিযানে সব মিলিয়ে ২৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
তৃতীয় দিন মঙ্গলবারের (২৮ ডিসেম্বর) অভিযানে তিনটি পাকা স্থাপনা, ৩১টি দোকান ঘর, ৩৬টি কারখানাসহ মোট ৭০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া একটি ভরাট করা জায়গাসহ আরও শূন্য দশমিক ৭৫ একর ভূমি উদ্ধার করা হয়।
২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকা নদী বন্দরের বুড়িগঙ্গা নদীর খোলামুড়া ঘাট এলাকা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কাজ শুরু করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে ঢাকা নদীবন্দরের বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু নদী ও শীতলক্ষ্যায় সাড়ে সাত হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সংস্থাটি।
এরপর উদ্ধার করা জায়গা পুনরায় দখলের ঘটনাও ঘটেছে। সেখানে আবার বিশেষ অভিযানও চালাতে হয়েছে বিআইডব্লিউটিএকে।
বর্তমানে আদি বুড়িগঙ্গা উদ্ধারে নেমেছে বিআইডব্লিউটিএ। চলতি বছর দ্বিতীয় দফা আদি বুড়িগঙ্গা উদ্ধারে অভিযান করছে সংস্থাটি। এর আগে প্রথম দফায় দুই দিন অভিযান পরিচালিত হয়েছে। চলমান দফায় ছয় দিন উচ্ছেদ কাজ পরিচালনা করা হবে। আদি বুড়িগঙ্গা উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএ’র সঙ্গী হয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: