- দক্ষিণ আফ্রিকায় ২ বাংলাদেশি অপহরণ, একজনকে হত্যা
- বিশ্বজুড়ে দূতাবাস বন্ধ করেছে ইসরায়েল
- প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা
- সীমান্তে ফের ১৩ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
- ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত হলো যে ১০টি দেশের
- কোরবানির পর হজমশক্তি বাড়াতে যেসব খাবার খাবেন
- যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর উদ্যোগ, যা বলছেন অর্থনীতিবিদরা
- হাজিদের সতর্ক করে কঠোর নির্দেশ সৌদি সরকারের
- ৩ লক্ষণে বুঝবেন আপনার চুল পড়ার হার স্বাভাবিক না
- ভারতে বিমান বিধ্বস্ত: স্বজনহারাদের পাশে শাহরুখ-আমির-সালমান

সিরিয়ায় ‘আয়নাঘরের’ মতো বন্দিশালার সন্ধান

সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের শাসনের পতনের পর দেশটিতে একের পর এক ভয়াবহ নির্যাতনের চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে। বিদ্রোহীদের দমন করতে আসাদ প্রশাসন যে নির্যাতনমূলক বন্দিশালা পরিচালনা করত, তার প্রকৃতি ছিল অমানবিক।
রয়টার্সের বরাতে জাতিসংঘের সিরিয়া কমিশনের সমন্বয়ক লিনিয়া আর্ভিডসন জানিয়েছেন, ২০১১ সাল থেকেই জাতিসংঘ সিরিয়ার বন্দিশালা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। তবে এবার প্রথমবারের মতো তাদের সরাসরি এসব বন্দিশালায় প্রবেশের সুযোগ হয়েছে।
লিনিয়া বলেন, ‘বন্দিশালাগুলো মূলত আন্ডারগ্রাউন্ডে অবস্থিত, যেখানে কোনো জানালা নেই। বন্দিরা সূর্যের আলো না দেখেই বছরের পর বছর, কখনো কখনো দশকের পর দশক কাটিয়েছে। সাবেক বন্দিদের কাছ থেকে পাওয়া বর্ণনার সঙ্গে বাস্তবের মিল পাওয়া গেছে।’
এসব বন্দিশালায় বন্দিদের ওপর চালানো হতো নির্মম নির্যাতন। জাতিসংঘের তদন্তে উঠে এসেছে, এই বন্দিশালাগুলোর চিত্র ভয়াবহ হলেও আসাদের শাসন পদ্ধতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএসের (হায়াত তাহরির আল-শাম) প্রধান জানিয়েছেন, বাশার আল-আসাদের শাসনামলে যারা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদের চিহ্নিত করা হবে। এ বিষয়ে তথ্য দিলে পুরস্কারেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে। বন্দিশালাগুলোতে যে ধরনের বর্বরতা ঘটেছে, তা দেশটির জনগণের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নিপীড়নের একটি অংশ।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আসাদ প্রশাসনের সময়কালের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় নিরূপণ এবং সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছে।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: