- ওয়ারীতে গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণে দগ্ধ
- জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এ রকম কোনো সংকট দেশে হয়নি: ওবায়দুল কাদের
- ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- ইউক্রেনের বিশাল বাঁধ ধ্বংস, পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ
- সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১৩
- দেশে ফিরেছেন সাকিব, খেলছেননা আফগানিস্তানের বিপক্ষে
- ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে নিম্নচাপ, তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়
- ভোটাধিকার কেড়ে নিলে মানুষ মেনে নেয় না: প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-ভারত সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী

রাজপরিবারের দ্বন্দ্ব মেটানোর উপযুক্ত সময়

সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জন মেজর বলেছেন, রাজ পরিবারের শোক ভাগাভাগির ফলে রাজদ্বন্দ্ব সমাধান হতে পারে। এছাড়া স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে রানির অনেক সময় প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার উইন্ডসর প্রাসাদে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৭৩ বছরের জীবনসঙ্গী ডিউক অফ এডিনবারা মারা যান। ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে কোন রাজা বা রানির এত দীর্ঘসময়ের জীবনসঙ্গী আর কেউ ছিলেন না।
বাকিংহাম প্রাসাদ ঘোষণা দিয়েছে, আগামী শনিবার যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বিকাল তিনটায় প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রিন্স অব ওয়েলস, প্রিন্স চালর্স, হ্যারিসহ রাজপরিবারের সদস্যরা ডিউক অফ এডিনবারার কফিনের পেছনে পায়ে হেঁটে চ্যাপেলে যাবেন।
ডিউক অব সাসেক্স রানির ছোট পৌত্র প্রিন্স হ্যারি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। দাদার শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন তিনি। তবে তার স্ত্রী মেগান মার্কেল গর্ভবতী থাকায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
গত বছর ব্রিটেনের রাজসিংহাসনের অন্যতম দাবিদার প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান রাজপরিবার থেকে বের হয়ে যান। রাজকীয় দায়িত্ব ছাড়ার পর এই দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে চলে যান।
চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস টিভিতে এক সাক্ষাতকারে প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল রাজপরিবারের বর্ণবাদী ও কর্তৃত্বপরায়ণ আচরণের অভিযোগ তোলেন। হ্যারি অভিযোগ করেন, বাবা প্রিন্স চার্লস তার আর্থিক খরচ কমিয়ে দেন এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গেও তার সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়।
হ্যারি বলেন, তার ভাই ও বাবা রাজপরিবারের নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে গেছেন। ভাইকে ভালোবাসেন তিনি। ভাই ও বাবার সঙ্গে আবার সম্পর্ক উন্নত করতে চান।
১৯৯৭ সালে প্যারিসে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারির মা প্রিন্সেস ডায়ানা মার যান। এসময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জন মেজরকে ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারির অভিভাবকত্বের দায়িত্ব দেয়া হয়।
জন মেজর বিবিসির অ্যান্ডু মারের কাছে এক সাক্ষাতকারে বলেন, রাজপরিবারের সংঘাত দ্রুত শেষ হবে। তিনি বলেন, ‘দাদার মৃত্যুর কারণে বর্তমানে তারা পরস্পর শোক ভাগাভাগি করছে, আমি মনে করি এটি একটি আদর্শ সময়।’ এই সময় যেকোনো দ্বন্দ্বের সমাধান খুবই সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের প্রধান ক্যাথলিক চার্চ কার্ডিনাল ভিনসেন্ট নিকোলসও ইঙ্গিত দিয়েছেন, ফিলিপের শেষকৃত্যে একত্রিত হওয়ার ফলে দ্বন্দ্ব প্রশমিত হতে পারে।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: