Thursday 25 April, 2024

For Advertisement

স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম দুর্নীতি ও সংকট নিয়ে সংসদে কঠোর সমালোচনা

14 June, 2021 9:35:39

স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও জনবলসংকট নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন জোটের সংসদ সদস্যরা। সংসদ অধিবেশনে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা করোনা সংক্রমণকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন স্বাস্থ্য খাত বিশেষজ্ঞদের পরিবর্তে আমলাতান্ত্রিক নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।

এক সপ্তাহ বিরতির পর সোমবার সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। সংসদে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সরকারি দলের সংসদ সদস্য মুহম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ওয়াশিকা আয়েশা খান ও উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের শিরীন আখতার এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম।

বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার সূত্রপাত করে ফারুক খান বলেন, বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বাংলাদেশ কভিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সফল হয়েছে। কভিড মোকাবেলায় টিকাদান কর্মসূচির বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, টিকাদান কর্মসূচি এগিয়ে নিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে টিকা সংগ্রহ, বিদেশি টিকা বাংলাদেশে উৎপাদন এবং দেশেই টিকা উদ্ভাবন ও তৈরি করতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, প্রকল্প পরিচালকদের অবহেলাসহ নানা কারণে উন্নয়ন প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন হয় না। প্রকল্প পরিচালকদের জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব হলে প্রকল্পগুলো সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন স্বাস্থ্য খাতের সমালোচনা করে বলেন, মানুষের জীবন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, আমলাতান্ত্রিক খবরদারিত্বে বাস্তবে রূপ নিতে পারেনি। করোনা রোধে স্বাস্থ্য খাত বিশেষজ্ঞদের পরিবর্তে আমলাতান্ত্রিক নির্দেশে পরিচালিত হওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। চোখের সামনে দেখেছি মাস্ক, পিপিই, করোনা টেস্ট নিয়ে জাল-জালিয়াতি। একজন শাহেদ, একজন সাবরিনা গ্রেপ্তার হয়েছে, কিন্তু যারা সচিত্র চুক্তি স্বাক্ষর করল, কাজ দিল, তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রথমেই টিকা সংগ্রহ করে সফলভাবে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে টিকা সরবরাহের পরিণতি দেখছি। টিকা নিয়ে আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছি। আগামী মাসগুলোতে টিকা যে আসবে তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। দেশের ১২ কোটি মানুষের জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে না পারলে করোনা সংক্রমণ রোধ হবে না। এই টিকা সরকারকেই সংগ্রহ করতে হবে। দেশে টিকা উৎপাদনের যে সক্ষমতা আছে তাকে কাজে লাগাতে হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও শেখ হাসিনার সরকার একটি প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গড়তে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছেন। আমাদের উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়তে অবশ্যই প্রযুক্তির পথ ধরে এগিয়ে যেতে হবে। প্রযুক্তিকে এগিয়ে যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক যুগ ধরে জাতিকে সে পথে সাফল্যের সঙ্গে পরিচালিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। গত এক যুগে দেশে প্রযুক্তি খাতের অর্জনগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে সংসদে তুলে ধরেন তিনি।

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি তুলে শাজাহান খান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে জনবল বৃদ্ধি জরুরি হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য খাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হচ্ছে না। আড়াই শ শয্যার হাসপাতাল হয়েছে, কিন্তু জনবল নেই। যার কারণে মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না। এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে ডিজাস্টার ঘটে গেছে। যারা সেকেন্ড ডোজ পাচ্ছেন না তাদের কী হবে? সরকারকে তাদের ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভ্যাকসিন নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনা হয়নি। একক সিদ্ধান্তে কেনার কারণে বাংলাদেশ আজ ট্র্যাপে পড়ে গেছে।

উপকূলীয় অঞ্চলের জীবন-জীবিকা রক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানান সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে আছে উপকূলের জনগণ। তাদের রক্ষায় সরকারের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে।

সরকারি দলের উম্মে কুলসুম বলেন, স্বাস্থ্য খাতের বিষয়ে আমরা অনেক কথা শুনছি। আগামীতে যেন স্বাস্থ্য খাতে দুর্বৃত্তায়ন আসতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অধিক বরাদ্দ দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

For Advertisement

সম্পাদক ও প্রকাশক:- এ এফ এম রিজাউর রহমান (রুমেল), এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট  
  • প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, এডভোকেট- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সহযোগী-সম্পাদক:
    • গোলাম কিবরিয়া খান (রাজা),
সহ -সম্পাদক:
    • হাসিনা রহমান শিপন,
নিউজ রুম ইনচার্জ :
    রাশিকুর রহমান রিফাত
© সকল স্বত্ব প্রতিচ্ছবি ডটকম ২০১৫ - ২০২২ অফিস: ৭২/২ উত্তর মুগদাপাড়া, ঢাকা ই-মেইল: dailyprotichhobi@gmail.com | মোবাইল: ০১৮১৮০৯৩১৩৭ ফোন:+৮৮০২৭২৭৭১৪৭

Developed by WebsXplore